লাচেন পৌঁছলাম তখন সময় সন্ধে পৌনে ৭ টা। লাচেনের পেছনে অনেকটা উপরে সামনের পাহাড়ের পিছন থেকে বরফের চূড়া উঁকি দিচ্ছে,চাঁদের আলয়ে দারুণ লাগছে, অন্ধকারে লচেন শহরটা বেশ সুন্দর লাগছিল। এবার জানতে পারলাম যে গুরুদংমার যেতে হলে রাত ২ টোয় রওনা দিতে হবে। প্লাস্টিক এর বোতলে জল নেওয়া যাবে না,আর রাস্তাও ভয়ানক খারাপ। ৭৫ কিমি যেতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। সকাল ৮ টার পর আর্মি আর যেতে দেয় না,কারণ লোক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মতন জোরে হওয়া বয় নাকি। তাছাড়া লেকটা ১৭১০০ ফিট উপরে,তাই অক্সিজেনও কম। অনেকেরই শরীর খারাপ হয়,তাই চেক পোস্টে আটকে দেয়। যাই হোক আমাদের রওনা দিতে ভোর ৩ টে বেজে গেল।
চলবে......
**************
ছবি ও লেখা -অভিজীৎ সরকার
|
[পরিচিতি-ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট।বয়স
৬৭,ঘুরে
বেড়াতে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন ছবি তুলতেও, চাকরী করা কালীন ফটোগ্রাফি শেখার সময়-সুযোগ হয়নি, যে
দৃশ্য তার চোখে ভাল লাগে সেই ছবিই তোলেন। সালটা সম্ভবত ১৯৫৭-৫৮ হবে, হটাৎই কিনে ফেলেন একটা জার্মানী মেড আগফা ক্যামেরা, সুরু
হয় ফটোগ্রাফির যাত্রা। যদিও তিনি বলেন- “আমার ফটোগ্রাফির জ্ঞান খুবই কম, ইয়ং জেনারেশনদের কাছ
থেকে অনেক কিছু শিখছি”। কিন্তু তার ছবি ও গল্পে একটা অসাধারণ আকর্ষণ আছে, যার কোন তুলনা হয় না।]
0 comments: