শিরোনাম

গুরুদংমার যাত্রা পথেঃ পর্ব দুই


লাচেন পৌঁছলাম তখন সময় সন্ধে পৌনে ৭ টা। লাচেনের পেছনে অনেকটা উপরে সামনের পাহাড়ের পিছন থেকে বরফের চূড়া উঁকি দিচ্ছে,চাঁদের আলয়ে দারুণ লাগছে, অন্ধকারে লচেন শহরটা বেশ সুন্দর লাগছিল এবার জানতে পারলাম যে গুরুদংমার যেতে হলে রাত ২ টোয় রওনা দিতে হবে। প্লাস্টিক এর বোতলে জল নেওয়া যাবে না,আর রাস্তাও ভয়ানক খারাপ। ৭৫ কিমি যেতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। সকাল ৮ টার পর আর্মি আর যেতে দে না,কারণ লোক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মতন জোরে হওয়া বয় নাকি। তাছাড়া লেকটা ১৭১০০ ফিট উপরে,তাই অক্সিজেনও কম। অনেকেরই শরীর খারাপ হয়,তাই চেক পোস্টে আটকে দেয়। যাই হোক আমাদের রওনা দিতে ভোর ৩ টে বেজে গেল। 










 চাঁদের আলোয় অন্ধকার রাস্তা দারুণ লাগছিল। তিস্তার জল চিক চিক করছিল। চারিদিক নিস্তব্ধ,তার মাঝে অন্ধকারে জল বয়ে যাওয়ার আওয়াজ আর চাঁদের আলো,দারুণ লাগছিল। কিন্তু এর মধ্যেই এবার আমার বমি হওয়া শুরু হয়ে গেল,কিন্তু মুখ ধোওয়ার জল ছিল না। সারা রাস্তায় আর্মি পোস্ট ছাড়া আর কোনও বসতি নেই। অন্ধকারে পেছনে অনেক নীচে দেখি আরও তিনটা গাড়ির আলো, আসছে দুলতে দুলতে। ভোরবেলায় চারিদিকের বরফের পাহাড় গুলো দারুণ লাগছিল। চেক পোস্ট পৌঁছে আবার আমাকে দেখতে এলো অফিসার কারণ কাগজে আমার বয়স দেওয়া ছিল। বলে যে আপ ঠিক হ্যাঁয়? যা সকেঙ্গে? ষাঠ বরস্ কি উপর কা আদমী কো হামলোগ জানে নেই দেতে। ঠিক হ্যাঁয়,তো যাইয়ে। উপর মে অক্সিজেন বহুত কম হ্যায়। তকলিফ হোগা তো তুরন্ত লওট্ আজাইয়েগা। ছাড় পেয়ে এবার আমরা গুরুদংমার যাওয়ার ফাইনাল ফাস্ট রাস্তা ধরলাম। 
চলবে......
**************

ছবি ও লেখা -অভিজীৎ সরকার
[পরিচিতি-ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট।বয়স ৬৭,ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন ছবি তুলতেও, চাকরী করা কালীন ফটোগ্রাফি শেখার সময়-সুযোগ হয়নি, যে দৃশ্য তার চোখে ভাল লাগে সেই ছবিই তোলেন। সালটা সম্ভবত ১৯৫৭-৫৮ হবে, হটাৎই কিনে ফেলেন একটা জার্মানী মেড আগফা ক্যামেরা, সুরু হয় ফটোগ্রাফির যাত্রা। যদিও তিনি বলেন- আমার ফটোগ্রাফির জ্ঞান খুবই কম, ইয়ং জেনারেশনদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। কিন্তু তার ছবি ও গল্পে একটা অসাধারণ আকর্ষণ আছে, যার কোন তুলনা হয় না।] 

0 comments: