শিরোনাম
Showing posts with label স্টাইল-বা-Zi. Show all posts
Showing posts with label স্টাইল-বা-Zi. Show all posts

সেক্স, শুধু দুটো দেহের জৈবিক তাড়না নয়!!

ছবি-গুগল
সেক্স এর মাধ্যমে দুটো দেহের যে মিলন তা শুধু জৈবিক তৃপ্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শারীরিক মিলনে বহু আধ্যাত্মিক রহস্য নিহিত আছে সৃষ্টির শুরু থেকে।  আমরা কেউই সেই বিষয়টির গভীরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করিনা। কিন্তু সত্যি অর্থে যে সেই স্বাদ নিতে পারে, তার জীবন হয় অনন্য অসাধারণ।
একাধিক জনের সাথে একই সময়ে শারীরিক মিলন, সমগ্র সমাজের কাছেই নিন্দনীয়। বিষয়টিকে বিকৃত রুচির পরিচয়, অবৈধ  বা প্রতারক, খারাপ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মূলত কোন স্বাভাবিক বিবেক সম্পন্ন মানুষ ই চায় না সম্পর্কের ব্যাপারে অবিশ্বাস বা প্রতরণার শিকার হতে। আর সেক্স এর ক্ষেত্রে নিরাপদ যৌন সঙ্গী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সেক্স বিষয়টি এখন কেবল মাত্র নিরাপদই না বরং আরও বিশদ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তার অন্তর্নিহিত দিক বিশ্লেষণের দ্বারা।

ছবি-গুগল 
যৌনসংগমের সময় গভীর অন্তরঙ্গতার মাধম্যে আমাদের শরীরে এক ধরনের প্রাকৃতিক এনার্জি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে যৌনসঙ্গির নির্বাচন হতে হবে সিলেক্টিভ। কারণ, যৌন সঙ্গীর সাথে অন্তরঙ্গতার বৃদ্ধি এই এনার্জিকে আরও ত্বরান্বিত করে। দেহজ্যোতি নিঃসরণ এর মাধ্যমে আমাদের দেহে যে শক্তির সঞ্চারণ হয় সেটা দিন কে দিন আমাদের সুস্থ ও কর্মক্ষম করে তোলে। অতএব সঙ্গী বাছার ব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক এনার্জির পুরো পজিটিভ দিকগুলো পেতে চাইলে শুধু একজন পার্টনার এর সাথেই সেক্স লাইফটাকে সম্পূর্ণ ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করতে হবে।
অন্য ক্ষেত্রে একাধিক জনের সাথে সেক্সে, ক্রমশ ডিপ্রেশন,হতাশা,ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে জীবনকে নেগেটিভ দিকে চালিত করে। যারা মনে করেন একাধিক জনের সাথে সেক্স করলে পুরুষত্ব অটুট থাকবে বা যৌন তৃপ্তির চূড়ান্তে পৌছনো যাবে তাদের ধারণটা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তাদের মধ্যে কখনো জীবনের মূল্যবোধ,অনুভূতি,সম্পর্কের গভীরতা ইত্যাদি বিষয়গুলো গড়ে ওঠে না।  ফলে তারা কখনো পরিবার প্রিয়জনদের কাছ থেকে সঠিক মূল্যায়ন বা গ্রহণযোগ্যতা পায় না।



গরমের অসুস্থতা থেকে সতর্ক থাকুন

ছবি- গুগল 
সমগ্র বিশ্বে উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রার পরিমাপ দিন কে দিন অসহ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এই তীব্র তাপ শুধু অস্বস্তি নয়, শরীরে তাপজনিত অসুস্থতার ও সৃষ্টি করে। সাধারণত যখন আবহাওয়া অনেক উষ্ণ হয়, তখন আপনার শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে। যার ফল হিসেবে দেখা দেয় শরীরে জলশূন্যতা, শক্তি ক্ষয় এবং সবশেষে হিট স্ট্রোক। বিশেষ করে হিট স্ট্রোক খুবই মারাত্মক একটি জিনিস। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। সুতরাং এই তাপজনিত অসুস্থতার পরিস্থিতি সামাল দিতে কি কি বিষয় করণীয় তা আগে জেনে নেওয়া উচিৎ।
জলশূন্যতা- চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে শরীরের অভ্যন্তরেও উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে আপনার শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যাবে। শরীর শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে জল পিপাসার চাহিদা বারে। এক্ষেত্রে জল পান না করলে পেটে ব্যথা শুরু হতে পারে। হাত পা ঝিম ঝিম করবে, কিংবা পেশীতে ব্যথা অনুভূত হবে যাকে আমরা ক্র্যাম্প বলে থাকি। প্রচুর ঘাম হওয়ার সাথে সাথে চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরানো কিংবা অন্যান্য দূর্বলতা দেখা দেয়। সুতরাং যখনই এই সব সমস্যায় আপনি ভুগতে শুরু করবেন, দ্রুত কোন শীতল স্থানে বসে বিশ্রাম নিন এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সেই সাথে শরীরের ঘাম মুছে নিন, বাতাসে শরীর শুকানো ও শীতল করার চেষ্টা করুন।
ছবি- গুগল 

শক্তিক্ষয়-যদি জলশূন্যতা প্রতিকার করা না হয় তাহলে সেটি শরীরের শক্তিক্ষয় এর দিকে মোড় নিতে পারে। কারণ তখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব ঘটে। তখন সেটি শরীরের কার্যকলাপ ঠিক রাখার জন্য সঞ্চিত শক্তি খরচ করতে শুরু করবে। এতে আপনার শরীরে দূর্বলতা বাড়তে শুরু করবে। ফলে এক্ষেত্রে চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এছাড়া বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, তীব্র মাথাব্যথা, অবসাদ, হাত পা কাঁপতে থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি। তার পাশাপাশি মানসিক যে উপসর্গ দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে দ্বিধাবোধ, অসংলগ্নতা ইত্যাদি।
হিট স্ট্রোক-তাপমাত্রা জনিত অসুস্থতার চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে হিট স্ট্রোক। যদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয় তবে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যুবরণ করতে পারে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করার জন্য যেসব উপসর্গ পর্যবেক্ষণ জরুরী তার মধ্যে প্রথম হল, আক্রান্ত ব্যক্তির তাপমাত্রা চেক করা। যদি স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে তিনি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও শুষ্ক ফ্যাকাসে ত্বক, ঘাম ইত্যাদি পাশাপাশি লক্ষ্য করা জরুরী। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির আচার আচরণ লক্ষ্য করুন। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ছোট করে নিঃশ্বাস নেয়া হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। তার পাশাপাশি যদি বমি হয়, হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক এর চাইতে কম হয় তাহলে দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।অত্যধিক গরমে অসুস্থ হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। সুতরাং এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা জরুরী।

তাপমাত্রা জনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। যতটা সম্ভব শরীর শীতল সতেজ রাখার চেষ্টা করুণ। বেশি মশলা জাতীয় খাওয়ার এড়িয়ে চলুন। জাদের হাইপ্রেসার এর অসুখ আছে তারা অবশ্যই প্রেসার চেক করুণ নিয়মিত। বেশি করে ফল , ফলের রস খান। প্রয়োজন ছাড়া রোদ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বার হলে সঙ্গে জল রাখুন।

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসঃ একটি প্রবন্ধ

সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত অটিজম সচেতনতা দিবস। ২০০৭ সাল থেকে এই দিবস পালন করা হচ্ছে । যখনই কোনো বাবা-মা জানতে পারেন তাদের শিশুটি অটিস্টিক তখনই এক ভয়াবহ রকম আতঙ্ক কাজ করে তাদের মধ্যে। কেননা অটিজম আক্রান্ত শিশুটি মানুষ হিসেবে অসম্পূর্ণ। সমস্যাটির নাম অটিজম। আর এই সমস্যায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে বলা হয় অটিস্টিক শিশু বা স্পেশাল চাইল্ড। অটিজম শিশুর মানসিক বিকাশের একটি অন্তরায়। বর্তমানে এই সমস্যা সমগ্র বিশ্বে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রতি ১৫০ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশু হতে পারে অটিস্টিক। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত বিশ্বে শহরাঞ্চলের স্বচ্ছল পরিবারগুলোতে অটিজমের প্রাদুর্ভাব বেশি। গ্রামাঞ্চলে ও অস্বচ্ছল পরিবারে অটিজমের প্রকোপ তুলনামূলক ভাবে কম।
অটিজম আসলে কি?
অটিজম হচ্ছে মস্তিষ্কের বিন্যাসগত সমস্যা । অটিজম শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে, যার ফলে শিশু শুধুমাত্র নিজের মধ্যে আচ্ছন্ন থাকে, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে । শিশু যখন শুধু নিজের মধ্যে আচ্ছন্ন থাকে তখন তার অন্যদের সাথে যোগাযোগ, সামাজিকতা, কথা বলা, আচরণ ও শেখা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
অটিস্টিক শিশু নির্ধারণ
অটিস্টিক শিশু নির্ধারণ করার জন্য কোনো মেডিকেল টেস্ট নেই। শিশুর আচার-আচরণ, তার বয়স অনুপাতে বুদ্ধির বিকাশ, কর্মদক্ষতা, ভাষাগত দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, সামাজিক যোগাযোগের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে শিশুটি অটিস্টিক। সাধারণত: জন্মের ২-৫ বছর বয়সের মধ্যে একটি শিশু অটিজমে আক্রান্ত কিনা তা নির্ণয় করা যায়।

অটিস্টিক শিশুর লক্ষণসমূহ
এরা সাধারণত একা একা থাকে ।
অন্যদের সাথে মিশতে, খেলতে এবং কথা বলতে চায় না ।
কথা বললেও অটিস্টিক শিশুরা অন্যের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে চায় না।
মানুষের প্রতি আগ্রহ কম প্রদর্শন করে।
কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক আচার আচরণের উন্নতি হলেও সামাজিক দায়িত্ব, ভাববিনিময় ও অপরের প্রতি সহানুভুতির সমস্যা রয়ে যায় ।
অটিস্টিক শিশুদের আদর-ভালবাসার প্রতি আকর্ষন কম । যেমনঃ তাকে কোলে নেওয়া বা আদর করা সে পছন্দ করে না। তবে অনেক অটিস্টিক শিশু তার প্রতি বাবা মার স্নেহ-মমতা বুঝে।
বন্ধু বান্ধবের সাথে খুব কম মিশে ।
অকারণে হাসে, কাঁদে বা ভয় পায় ।
প্রথাগত শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কম কিন্তু ছোট ছোট বস্তুর প্রতি আগ্রহ বেশি।
বিপদ সম্পর্কে অসচেতন।
যে কোন বিষয় কেউ কেউ অতিমাত্রায় সতর্ক আবার কেউ কেউ মোটেই সতর্ক নয়।
অনেক বেশি শব্দ অপছন্দ করে।

অটিজমের কারণ
শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি।তবে অটিজমের লক্ষণগুলো পর্যালোচনা করে কিছু কারণ সনাক্ত করা যায়, যথা-
মস্তিষ্কের কোনরূপ গঠনগত ত্রুটি।
মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়া।
মস্তিষ্কের নিউরো-কেমিক্যলের অসামঞ্জস্যতা।
শিশুর জন্মপূর্ব বা জন্মের পরবর্তীকালের কোনরূপ সংক্রমণ ব্যাধি।
জিন অথবা ক্রোমোজোমগত অস্বাভাবিকতা
অন্তক্ষরা গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে অসামঞ্জস্যতা।
অটিজমের চিকিৎসা পদ্ধতি
প্রথমেই বলেছি অটিজম শিশুর সম্পূর্ণ একটি মানসিক সমস্যা। তাই এর চিকিৎসা ধরনটাও মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতির ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়শই অভিভাবকেরা শিশুর রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাদানে ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। সাধারণ মেডিকেল চিকিৎসা আর ওষুধ সেবনে অটিজম থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। অনেক সময় অভিভাবকেরা আধ্যাত্মিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন যা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত।
যেহেতু এটি একটি মানসিক সমস্যা তাই অভিভাবকদের প্রয়োজন অটিস্টিক শিশুকে একজন মনস্তাত্ত্বিক গবেষক এবং মনোবিদের নিকট নিয়ে যাওয়া। সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা পেলে অটিস্টিক শিশু সুস্থ হবার সম্ভাবনাও শতভাগ। অটিস্টিক শিশু হয়তো আর সব সাধারণ শিশুর মতো সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করতে পারবে না। কিন্তু সাইকোথেরাপী বা স্পেশাল শিক্ষাদানের মাধ্যমে এইসব শিশুকে ৮০-৯০ ভাগ পর্যন্ত সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এর ফলে শিশুটি নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কাজ থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কাজেও অংশগ্রহণ করতে পারে। আবার চিকিৎসা গ্রহণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে বিয়ে ও সংসার করাও সম্ভব অনেকের পক্ষে।

অটিজম নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
অটিজম নিয়ে মানুষের মাঝে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা সত্যতা পাওয়া যায় নি। অনেকেই মনে করেন, অটিজম বংশগত রোগ। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক বাবা-মায়ের ঘরেও অটিস্টিক শিশু জন্মগ্রহণ করে থাকে। পরিবারের বা বংশের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত না হলেও একটি শিশু অটিস্টিক হতে পারে।
বাবা-মায়ের সঠিক পরিচর্যার অভাবে শিশু অটিস্টিক হয় এমন একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনেকের মাঝেই রয়েছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, একান্নবর্তী পরিবার অথবা একমাত্র সন্তান হবার পরেও একটি শিশু অটিস্টিক শিশু হয়ে থাকে। অটিস্টিক শিশুকে অনেকে পাগল,বাবা-মায়ের অভিশাপ ইত্যাদি কুসংস্কারে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন। এরূপ বিশ্বাসের ফলে অনেক সময় শিশুর ভুল চিকিৎসা করে থাকে। যা শিশুর জীবনের জন্যেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু কিছু শিশুর জন্ম ও স্বভাবগতভাবেই একটু বেশি অস্থির, চঞ্চল, রাগী ও জেদি প্রকৃতির হয়ে থাকে। এতে করে শিশুটি অটিস্টিক শিশু হতে পারে এমনটা ভেবে ভয় পাবারও কিছু নেই।
উল্লেখ্য, অটিজমের বেশ কয়েকটি লক্ষণ শিশুর মধ্যে প্রকাশ পেলেই দেরী না করে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। সঠিক মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে অটিস্টিক শিশুদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু সঠিক তত্ত্বাবধান ও শিক্ষাদান পদ্ধতি। সচেতনতা এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে একটি অটিস্টিক শিশুর স্বাভাবিক ও সুস্থ 

আগুন পাখী ক্লিওপেট্রার রূপটান

ছবি- গুগল 
ক্লিওপেট্রা নাম শুনলে এখনও পর্যন্ত পুরুষ হৃদয়ে তোলপাড় হয়। সেই ভুবন মোহিনী সুন্দরীর রূপ রহস্য নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। কেমন করে ধরে রেখেছিলেন যৌবনকে তিনি নিজের দেহে। নারীর সৌন্দর্য মাপার মিটার হল পুরুষের চোখ। আপনিও কি আপনার কাঙ্কখিত পুরুষটির চোখে  নিজেকে ক্লিওপেট্রার মত সুন্দরী করে তুলতে চান? তাহলে আপনার জন্য রইল ক্লিওপেট্রার রূপ রহস্যের কিছু চাবিকাঠি।
ক্লিওপেট্রার ফেস মাস্ক:-এখনকার ফেস মাস্কের ধারণার প্রবর্তকও স্বয়ং ক্লিওপেট্রা। তার আবিষ্কৃত প্রথম ফেস মাস্কের উপাদান ছিলও মধু,ডিমের সাদা অংশ এবং গাধার খুর নামে এক প্রকার গাছের পাতার রস। যুগে যুগে ক্লিওপেট্রার রূপ রহস্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আর হয়েছে এই ফেস মাস্ক নিয়েও।
দুধ ও মধু দিয়ে স্নান:- ক্লিওপেট্রার একটি বিশেষ রূপ রহস্য ছিল গাধার দুধ ও খাঁটি মধুর সাথে বাদাম তেল মিশিয়ে স্নান। তিনি যখনই দূরে কোথাও যেতেন,সঙ্গে ২টি গাধা নিয়ে যেতেন। যাতে স্নান করার প্রয়োজন হলে সমস্যায় না পড়তে হয় সেটা ভেবেই তার এমন অদ্ভুত খেয়াল।
তবে এখন তো আর গাধার দুধ দিয়ে স্নান করা সম্ভব না। ক্লিওপেট্রার এই রূপ রহস্যটি অনুসরণ করতে চাইলে আপনি গরুর খাঁটি দুধ,মধু ও বাদাম তেল/অলিভ অয়েল দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে আপনার স্নানের জলের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়।
ক্লিওপেট্রার বডি স্ক্রাব:-  দুধ ও মধু দিয়ে স্নানের সময়ে ক্লিওপেট্রার দাসীরা তার শরীরের একটি বিশেষ ধরণের স্ক্রাব ব্যবহার করতো। স্ক্রাব বানাতে প্রয়োজন ২ টেবিল চামচ সামুদ্রিক নুন ও ৩ টেবিল চামচ ক্রিম(প্রাকৃতিক)। নুন ও ক্রিম এক সাথে পুরো শরীরের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। পুরো শরীরের ম্যাসাজ করার পর ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই স্ক্রাবিং ব্যবহার করলে শরীরের মরা চামড়া উঠে যায় ও ত্বক নরম হয়।
ক্লিওপেট্রার ফেস ক্রিম:- ক্লিওপেট্রা বিশেষ কিছু উপাদান দিয়ে মুখের জন্য ক্রিম বানাতেন। তার ফেস ক্রিম বানাতে লাগতো ২টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস, ৪ ফোঁটা গোলাপের তেল, ১ টেবিল চামচ বাদামের তেল,মৌচাকের মোম। মোম ও বাদাম তেল হাল্কা গরম করে গলিয়ে নেয়া হতো। এর পর একে একে বাকি উপকরণগুলো দেয়া হতো। মোম বেশি দিলে ক্রিম ঘন হয় আর কম দিলে পাতলা হয়। এই ক্রিমটি ত্বকের যত্নে একটি অসাধারণ উপকরণ। একবার বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলে এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যায়।
ক্লিওপেট্রার শ্যাম্পু:- কথিত আছে যে রানী ক্লিওপেট্রার চুল ছিলও অসাধারণ। তার চুলের শ্যাম্পু গুলোর মধ্যে একটি ছিলও ডিম। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা করে সেটাকে পুরো চুল আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগানো হতো। এর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হতো।
ক্লিওপেট্রার হেয়ার ট্রিটমেন্ট:-এখনকার সময়ে চুলে গরম তেলের যেই ট্রিটমেন্ট করা হয় সেটার প্রচলক ছিলেন ক্লিওপেট্রা। তিনি ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল এক সাথে মিশিয়ে হাল্কা গরম করে নিতেন। এর পর সেটা মাথার তালুতে ও সব চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগাতেন। এরপর একটি কাপড় দিয়ে পুরো মাথা পেচিয়ে রাখতেন ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে। এই হেয়ার ট্রিটমেন্টে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল কোমল হয়।
ক্লিওপেট্রা ছিলেন একজন রহস্যময়ী নারী। তার জীবনের প্রতিটি ঘটনার মতো তার রূপেরও সব রহস্য উৎঘাটন করা যায়নি। তিনি নিজেকে এবং নিজের রূপকে খুবই ভালো বাসতেন। এই জন্যই তিনি নিজের ত্বক ও চুলের যত্নে অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার করে গেছেন। সেই পদ্ধতি গুলোই রূপের যত্নে এতকাল পড়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


শীতে ব্রণ তাড়াতে কয়েকটি বিষয়

ছবি- গুগল 
এমনিতে ত্বক নিয়ে সমস্যার শেষ নেই, তার মধ্যেও যদি ব্রণ দেখাদেয় তাহলে তো সমস্যা আরও দিগুন। কিন্তু এর জন্য দায়ী আপনার রূপচর্চা রুটিন ও শুষ্ক-ঠাণ্ডা মৌসুমী বাতাস। এ সময়ে ব্রণ প্রতিরোধক প্রসাধনী ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যায় না। এর কারণ হলো গরমের দিনের প্রসাধনী শীতে আগের মতো কাজ করে না।
ত্বকের এ সমস্যা নিয়ে মনমরা হওয়ার কিছু নেই। আজকে আপনার জন্য রইল ব্রণ তাড়ানোর কয়েকটি নিয়ম- 
  • শীতে লোশন মাখতে অনেকে ভয় পান। মনে করেন লোশন মাখলে ব্রণ আরও বাড়বে। এটা ঠিক নয়। শীতে ত্বককে আগে আর্দ্র আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আর এ জন্য অবশ্যই স্নান কিংবা মুখ ধোয়ার পরে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার মাখতে হবে। তবে ব্রণ থাকলে প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
  • ত্বকের ব্রণ মানেই এ নয় সকলের পরামর্শ মানবেন। এর বদলে নিজের সমস্যার ধরন নিয়ে ভাবুন। এ সময়ে দরকার একটু বাড়তি যত্ন ও ঘরোয়া চিকিৎসা। অন্য কারো পরামর্শের দরকার মনে হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ব্রণ প্রতিরোধক পণ্য কেনা সময় প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ কিছু বেছে নিন।
  • সাধারণত আমরা ভাল ক্লিনজার বলতে দামী ক্লিনজারই মনে করি। আর ব্রণ থাকলে তো কথাই নেই। বাজার ঘুরে ঘুরে নামি ব্র্যান্ডের ক্লিনজারগুলো কিনে থাকি। কিন্তু আপনার অগোচরে এই ক্রিমগুলো ত্বকের অপূরণীয় ক্ষতি করছে, তা জানেন কি? মনে রাখবেন যত দামি ক্রিম তত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ত্বকের ধরন বুঝে এই শীতে বেছে নিন নরমাল ক্লিনজার।
  • বেশিরভাগ মানুষই মনে করে গরমের চেয়ে শীতে কম জল খেলেও চলে। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শীতে অন্তত দৈনিক ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। এটা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে এবং সেই সঙ্গে ব্রণের হাত থেকেও দূরে রাখবে।
  • আপনার চুল ও ত্বকের ময়লা বালিশে আটকে থাকে। আর প্রতিদিন সেই বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমানোর ফলে বালিশে জমে থাকা ময়লা ত্বকে গিয়ে ব্রণের সৃষ্টি করে। তাই ব্রণ থেকে বাঁচতে চাইলে মাঝে মাঝে অথবা সপ্তাহে একবার বালিশের কভার বদলাতে হবে।
  • শুধু শীতে নয় বরং সবসময়ই ব্রণে হাত না লাগানো উচিত। অনেকেরই ব্রণে খোঁচাখুঁচির অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না, হাত ও নখে থাকা লুকানো ব্যাকটেরিয়া ত্বকে গিয়ে আরও ক্ষতি করে বিশেষ করে আপনার ত্বক যদি শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে থাকে।

মিস ইউনিভার্স ২০১৫, সুইমিং স্যুট রউন্ড এর কিছু ছবি

ছবি- গুগল
অনুষ্ঠান- ৬৩তম মিস ইউনিভার্স ২০১৫
স্থান- জানুয়ারী ২৫, ২০১৫ দোরাল, মিয়ামি, ইউনাইটেড স্টেটস
অংশগ্রহণকারী- ৮৮ জন প্রতিযোগী
বিজয়িনী- মিস কলম্বিয়া পাওলিনা ভেগা(প্রথম), মিস ইউএস নিয়া স্যাঞ্চেজ(দ্বিতীয়)।

ভারতীয় প্রতিযোগীর স্থান -প্রথম পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন ভারতের নয়নিতা লোধও।





































ছবি-মিস ইউনিভার্স.কম। 

লেট নাইটের প্রবণতা বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি

ছবি- গুগল 
শরীরের নাম মহাশয় যাহা সহাবে তাহাই সয়। এই কথাটা ঠিক কত কাত খানি কার্যকরী এখন কার সময়ে? কাজের পরিধি আর জীবন ধারা বদলে যাওয়ার জন্য মানুষের বিশ্রামের সময়ের ও অনেক হেরফের ঘটেছে। কাজ সব থেকে যে জায়গাতে তার কামড় বসিয়েছে তা হল আমাদের ঘুমের সময়ের। 
বিবিসি জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের স্লিপ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, রাত জেগে কাজের যে কুফল তা গভীরতর আণবিক স্তরে পরিলক্ষিত হয়। রাত জাগার ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহতম বলে মনে হয়েছে তাদের। রাতের বেলায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। রাতের ঘুম কখনো দিনে ঘুমিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।
গবেষকরা আরও জানান, মানুষের শরীরে একটি দেহ ঘড়ি রয়েছে, যার ছন্দ হচ্ছে রাতে ঘুম আর দিনে কাজ। একটি বাড়িতে যদি সব ঘরে ঘড়ি থাকে এবং সব ঘড়িতে উল্টা-পাল্টা সময় দেখায় তবে ঘরের অবস্থা যা হতে পারে, এক্ষেত্রে রাত জাগার ফলে দেহ ঘড়ির অবস্থাও সেরকম। রাতে জাগার ফলে হরমোন পরিবর্তন, দেহের তাপমাত্রায় রদবদল, মেজাজ ও মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে। রাত জাগা ২২ ব্যক্তিকে নিয়ে তারা গবেষণা করে শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো খেয়াল করেন।
সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সিমন আর্চার জানিয়েছেন, মানুষের জিনের ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে রাত জাগার ফলে পরিবর্তন দেখা দেয়। অনিয়মিতভাবে রাত জেগে কাজ করার ফলে দেহ ঘড়ির ছন্দ রক্ষাকারী জিন ৯৭ শতাংশ কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুস্থ থাকতে হলে প্রতিটি মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। টিভি দেখে বা কম্পিউটারে কাজ করে ঘুমাতে চাইলে তার মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকে। ফলে ভালো ঘুম না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এতে করে ক্ষুধামান্দ্য, বিষণ্নতা, স্নায়ুবৈকল্য, কোষ্ঠকাঠিন্য নানা সমস্যায় ভুগতে পারে। রাত জাগা ব্যক্তির অনেকেই ঘন ঘন চা-কফি পান করে, এটিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে রাত জাগার বদ অভ্যাস পরিহার করতে হবে। কারও যদি ৫টায় ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তিনি কিন্তু চাইলেই পরদিন ১২টায় ঘুমাতে পারবেন না। ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। রাত জাগা কমিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে সময়মত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত ঘুম হলে স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে। রাত জাগার দিন প্রচুর জল পান করুন।


প্রথম সহবাসের কিছু কার্যকরী টিপস

ছবি-গুগল
প্রথমবার সহবাসের কথা শুনে অনেক নারী ভয় পান। তা বলে সহবাস করবেন না তাও  কি হয়। তাছাড়া আপনি প্রথম নারী নন যে এমনটা ভাবে। প্রথমবার সহবাস করার আগে কি কি করবেন তা নিয়ে তো প্রচুর গবেষণা করেছেন। আসুন এইবার যেনে নিন কি কি করবেন না যা আপনার সুন্দর সময়টিকে যন্ত্রণা দায়ক করে তুলতে পারে। 
যে কোন সহবাসকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সব থেকে প্রথমেই দরকার ফোর প্লে। সঠিক অর্থে ফোর প্লে আপনাকে আপনার সঙ্গীর আকর্ষণ বুঝতে ও বোঝাতে অত্যন্ত দরকারি। দুজন দুজনের ছন্দ না বুঝলে আসল সুখের অনুভূতিটাই মাটি হয়ে যাবে। সব সময় মনে রাখা উচিৎ আমরা পশুদের থেকে অনেকটাই উন্নত স্তরে অবস্থান করি।
প্রথমেই বলি পুরুষদের কথা। সঙ্গী পুরুষ পার্টনারকে বুঝতে হবে প্রথম সহবাসেই সবসময় বাজিমাত হয় না। মেয়েদের যোনিপথের আভ্যন্তরীণ গঠন যেমন জটিল তেমনই স্পর্শকাতর। অতএব শক্তি দেখানোর জায়গা এটি নয়। আস্তে আস্তে সঙ্গীর বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করুন। সহবাসে আপনা থেকেই চলে আসবে স্বাভাবিক ছন্দ। অনেকেই আবার, বিশেষত মহিলারা ড্রাইনেসের সমস্যাতে ভোগেন। সেক্ষেত্রে যদি পুরুষরা বেশি জোরাজুরি করেন,তাহলে উলটে তাদেরই ব্যথা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কারণ মিলনাঙ্গ উভয়ের ক্ষত্রেই অত্যন্ত সেনসিটিভ। তাই এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে সেদিনকার মতো ব্যাপারটার সেখানেই ইতি টানুন ।
মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই ভাবুন সেক্সে ব্যথা লাগার ভয়টা নিয়ে। কিন্তু মনে রাখবেন ঠিকঠাক সহবাসে ব্যথা লাগার সম্ভাবনা প্রায় নেই। পুরোটাই আমাদের মনের ভুল,অতিরিক্ত টেনশন থেকেই আমাদের মনে হয় ওই বুঝি লেগে গেল। বহু সেক্সোলজিস্টদের মতে,একটা টিটেনাস নিতে নাকি প্রথম সহবাসের চেয়ে বেশি ব্যথা লাগে। তাঁদের মতে,যত বেশি ভয় পেয়ে মহিলারা কুঁকড়ে যাবেন,ততই পেশি স্টিফ হয়ে ব্যথা বেশি লাগবে। কারণ তখন পার্টনারেরও পেনিট্রেশনে সমস্যা হবে। তাই নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখুন। প্রয়োজনে করতে হতে পারে আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোর প্লে। সারা মাথা জুড়ে আপনার তখন একটাই কাজ এই সুন্দর পরিস্থিতিটিকে উপভোগ করা।

অনেকেরই প্রথম সহবাসের পর পর কয়েকদিন একটা ক্ষীণ ব্যথার অনুভূতি থাকে। তা নিয়ে অযথা উত্তেজিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রথম প্রথম ব্যয়াম করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কয়েকদিন ব্যথা থাকে,কারণ পেশিগুলো রিল্যাক্সড হওয়ার সময় নেয়। ভ্যাজাইনার মাসলের ক্ষেত্রেও এই একই থিয়োরি কার্যকর ।

মেকআপ এর টাচআপ টিপস

ছবি- গুগল
রমরমিয়ে এখন চারিদিকে বিয়ে বাড়ির হিড়িক। তার সাথে আছে সাজার আরও হাজারটা কারণ। এছাড়াও প্রতিদিনের জীবনেও নারীরা ব্যবহার করে থাকেন মেকআপ। সেই সকালে মেকআপ করে বাড়ি থেকে বের হলে সেটা আর কতক্ষণ ঠিকঠাক থাকতে পারে? তাই জেনে নিন মেকআপ বেশিক্ষণ ফ্রেশ রাখার কিছু টিপস।
  • তৈলাক্ত ত্বকে ফাউন্ডেশন বা পাউডার লাগানোর আগে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফাউন্ডেশন লাগান। মেকআপ সহজে ঘেমে যাবে না।
  • পরিষ্কার কাপড়ে আইস কিউব জড়িয়ে মুখ মুছে ফেলুন। বড় রোপকূপের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
  • ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। কমপ্যাক্ট পাউডার সহজে সেট করবে এবং বেশিক্ষণ ফ্রেশ থাকবে।
  • লুজ পাউডারের চেয়ে কমপ্যাক্ট পাউডার বেশিক্ষণ থাকে এবং মসৃণ ফিনিশ দেয়। মেকআপ রিটাচ করার জন্য কমপ্যাক্ট পাউডার রাখুন সাথে। এতে দ্রুত মেকআপ রিটাচ করতে পারবেন।
  • মেকআপ চড়া হয়ে গেলে কিছুটা মেকআপ রিমুভ করার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন।
  • আই পেনসিলের কাজল কিছুক্ষণ পর মুছে যায়। তার বদলে লিক্যুইড আই লাইনার ব্যবহার করুন।
  • লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে কিছুটা ফাউন্ডেশন লাগান। লিপস্টিক সহজে উঠে যাবে না। চুল খোলা রাখলে লিপগ্লস না লাগালেই ভালো। চুল এলোমেলো হয়ে উড়ে এসে লিপগ্লসে আটকে যেতে পারে।
অতএব চটপট এই টিপস গুলিকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠুন দীর্ঘ সময়ের জন্য রুপে লাবন্যা। 
****************