শিরোনাম
Showing posts with label পেটুক পুরাণ. Show all posts
Showing posts with label পেটুক পুরাণ. Show all posts

এই গরমে তরমুজ প্রেমে থাকুন তরতাজা

ছবি- গুগল 
পাল্লা দিয়ে  গরম বাড়ার সাথে সাথেবাজার ঘাট ভরে যাচ্ছে সুস্বাদু সব ফলে। তরমুজ গরমেরই ফল। আকার-আকৃতিতে যেমন বড়, তেমনি গুণের ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ। প্রতিদিন দুই কাপের মতো তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির চাহিদা মেটে। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুয়িড ও মিনারেলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সবুজ খোসাসহ তরমুজ ক্যানসার রোগীদের জন্য খুবই আদর্শ। এ ছাড়া অ্যাজমা,ডায়াবেটিসের মতো রোগ এবং ব্যথা উপশমে তরমুজ ভারি উপকারী।

এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই জল। তাই তরমুজ খেলে সহজেই জলের তৃষ্ণা মেটে। তরমুজের থাকা বিশেষ কয়েক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমাগত নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বজায় রাখে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এতে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণও অনেক। বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই ফল খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। কারণ,ভিটামিন এ ত্বককে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
ছবি- গুগল 
তরমুজের ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি১ শরীরে এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে এবং এই গরমেও শরীরকে সতেজ রেখে,শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। যখন শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণে জল বের হয়ে যায়,তখন এটি খেলে শরীরের জলশূন্যতা দূর হয়। তরমুজে আছে পটাশিয়াম,যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যানসার,কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল এবং খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় সহজে কিন্তু সেই অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে না। যত ইচ্ছা তরমুজ খেলেও তাই ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। তাই নিশ্চিন্তে তরমুজ খান।

চিংড়ি ষোলোয়ানা

কাল সন্ধ্যেবেলা আমাদের পাশের বাড়ির দোয়েলের কাছে গিয়েছিলাম। দোয়েল আমাকে দেখেই বলল "কাকিমা, পরের সপ্তাহে আমাকে দেখতে আসছে। ওরা খুব ভোজনবিলাসী। তাই আমাকে কয়েকটা রান্নার পদ শিখিয়ে দিও না। বাঙালি মাত্রই চিংড়ি প্রিয়। দোয়েলের কথা মত চিংড়ির উপরে চটজলদি একটি রেসিপি নীচে দিলাম| মধ্যবিত্ত বাঙালির পাতে মালাইকারী ছেড়ে এবার পাতে পাড়বে চিংড়ি ষোলোয়ানা । 
উপকরণ-                                                             সময় ৪৫ মিনিট
চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম,
মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ - ২০০ গ্রাম,
আদা - ১/২ ইঞ্চি, 
কাঁচা লঙ্কা ঝাল হলে ৫/৬ টা,
জিরে গুড়ো - ২ বড় চামচ,
টক দই ১/২ কাপ, 
নারকেল কোরা ১ কাপ,
নুন মিষ্টি -পরিমাণ মত,
সাদা তেল ৩ বড় চামচ,
ছোটো এলাচ,দারুচিনি,কাজু বাদাম - আন্দাজ মত।

প্রণালী- চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে কিছুটা খোসা সমেত অল্প নুন হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ফোঁড়ন দিয়ে চিংড়ি ছেড়ে দিতে হবে। যখন একটু লালচে রং ধরবে তখন পেঁয়াজ, আদা,কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে তার রসটুকু দিয়ে নাড়াতে হবে। এবার এক কাপ নারকেল কোরা থেকে দুধ বের করে অল্প জল দিয়ে তাতে জিরে গুড়ো আর নুন-মিষ্টি স্বাদ অনুসারে কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। ঝোলটা গাড় হলে আধ কাপ দই ফেটিয়ে কাজু বাদাম বাটা সহযোগে উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুন্দর রং ও গন্ধ ছড়ালেই ষোলোয়ানা তৈরি।

************************ 
নুপুর চন্দ 
[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ।কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক।এক সময় থিয়েটার এর সাথেও সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন।এখনও সেই অনুরাগ অটুট আছে।বিবাহের পরে শরীর চর্চা, যোগ ব্যায়ম এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পেশাদার যোগা সার্টিফিকেট পেয়েছেন।অবসর সময় কাটে রান্নাবান্না,বইপড়া,গান শোনা,নিজের হাতে তৈরি বাগানের পরিচর্যা করে ।]

আরশির গোলাপ পিঠে

ছবি- গুগল 
শীতে নেমন্তন্ন পেলে খুব রাগ ধরে যায় আরশির। কিন্তু সে নেমন্তন্ন যদি পিঠে খাওয়ার হয়, তাহলে সে যত শীত হোক, ওটা মিস হবে না। এই বার বিয়ের পর প্রথম বছর তার পিঠে খাওয়ার দিন। নতুন বউমা পিঠে ভালবাসে শুনে পিসি শাশুড়ি পিঠের নেমন্তন্ন করেছে। এই প্রথম এক ধরনের নতুন পিঠে সে দেখল এবং খেল। খুব অবাক হয়ে গেলো সে, যখন দেখল তার প্লেট জুড়ে শুধু গোলাপ ফুটে আছে। পিঠের গোলাপ। পিসি শাশুড়ি বলল এটার নাম গোলাপ পিঠে। আরশি না পেরে রেসিপির দিকে ঝুঁকে পরল। এই গোলাপ পিঠে যে তাকে শিখতেই হবে।

উপকরণ –     সময়- ১ ঘণ্টা
ময়দা ৫০০ গ্রাম,
দুধ ১ প্যাকেট,
চিনি ৫০০ গ্রাম,
গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ,
সাদা তেল।

প্রণালি দুধ জ্বাল দিয়ে গোলাপ জল মিশিয়ে ময়দাটা তে একটু চিনি আর নুন দিয়ে ওই দুধ দিয়েই মাখতে হবে। মাখা হয়ে গেলে, রুটির মতন বেলতে হবে। 

তারপর রুটির ওপর গ্লাস দিয়ে তিনটে এক সাইজের গোল করেকেটে নিতে হবে। বাকি অংশ টুকু দিয়ে গোল বল বানাতে হবে। তিনটে ছোট আকারের লুচি একটার ওপর আরেকটা বসাতে হবে। 


মাঝখানে ওই গোল বল বসিয়ে বল থেকে সমান করে লুচি গুলো ছুরি দিয়ে তিন দিক দিয়ে কেটে নিতে হবে, এইবার কাটা অংশ গুলো দিয়ে চার ধার দিয়ে মুড়ে নিয়ে গোলাপের পাপড়ি বানাতে হবে। এরপর জলের মধ্যে চিনি দিয়ে ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। 


আর তৈরি গোলাপ গুলো সাদা তেলে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে তৈরি শিরায় ডুবিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশন করার জন্য তৈরি গোলাপ পিঠে। 



**************
ছবি ও লেখা অলোকা বিশ্বাস সাহা
[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সঙ্গীতে এম.এ করেছেন। মা হওয়ার আগে একটি স্কুলে পড়াতেন।  বাংলাzine-এর অনুরোধ ছোট বেলার লেখালেখির অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অবসর সময় কাটে লেখালেখিবইপড়াবিভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজখবর করে আর নিজের ছোট্টটির জন্য গান গেয়ে।]

হৃদয় হরণ পিঠে

ছবি- গুগল
আমার বন্ধু সুজাতা প্রায়েই মনের দুঃখে আমায় ফোন করে। ওর শাশুড়ির সাথে কিছুতেই বনিবনা হয়না। খুব শিক্ষিত ওর শ্বশুরবাড়ির লোক, কিন্তু তাও কেন জানি না শাশুড়ি ওকে মেনে নিতে পারেন না। সুজাতা কোন উত্তর দিতে পারে না। সবাই কি সব কিছু পারে? সংক্রান্তির দিন সকালবেলা সুজাতা মন খারাপ করে ফোন করে খুব কান্নাকাটি করল। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। কারণ বিশেষ কিছুই না, সুজাতা বাড়ির সব কাজ করে, রান্না করে, নিজের ছোট বাচ্চা সামলেও পিঠে করতে ওনার সাথে সহযোগিতা করেনি, তাই। আমি অবাক হয়ে গেলাম। বললাম কি করার, সম্পর্ক কি কখনও অস্বীকার করা যায়? আমি একটা পিঠের নতুন রেসিপি ওকে বলে দিলাম। হৃদয় হরণ পিঠে, বললাম সেদিন পারিসনি, আরেকদিন করে খাওয়াস তোর শাশুড়িকে, আর এত্ত ভালো করে করিস, যাতে সত্যি ওনার হৃদয় হরণ করতে পারিস।
উপকরণ ময়দা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, ১ টা ডিম, ১ চামচ ঘি, ১ চামচ এলাচ গুঁড়ো, পরিমাণ মতন নুন, সামান্য সাদা তেল।
মালাইয়ের জন্য ৫৫০ মি.লি দুধ, ১ কাপ চিনি, ৪ টে গোটা এলাচ ।

প্রণালি প্রথমে ২ কাপ চিনি অল্প জলে মিশিয়ে শিরা তৈরি করে রাখতে হবে। ময়দার মধ্যে ঘি আর ডিম মিশিয়ে ওটাতে অল্প চিনি আর নুন দিয়ে মেখে নিতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে লুচির মতন বেলে নিয়ে গোলাকার লুচিগুলোকে আবার লেচির মতন করে লম্বা করে নিতে হবে, সম্ভব হলে লুচি গুলোকে শাড়ির কুচির মতন কুচিয়ে নিয়ে লম্বা লেচির মতন করে নিলে দেখতে খুব সুন্দর হয়ে যায়, তারপর ওই লেচি গুলোকে হার্ট শেপ করে নিতে হবে।এরকম দুটো লুচির লম্বা লেচি একটার ওপর আরেকটা করে তৈরি করে নিলে পিঠে টা আকারে একটু বড় হবে। এবারে এগুলো সাদা তেলে একটু লাল করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সেগুলো চিনির শিরায় ডুবিয়ে রাখতে হবে অন্তত ২ ঘণ্টা। এর মধ্যে দুধ টাকে  জ্বাল দিয়ে ঘন করে সেটিকে চিনি দিয়ে আবার জ্বাল দিতে হবে। ওপর থেকে গোটা এলাচ ছড়িয়ে রাখতে হবে। পরিবেশন করার সময় মালাই ওপর থেকে ছড়িয়ে নিয়ে উপভোগ করতে হবে এই হৃদয় হরণ পিঠের স্বাদ।

***************
ছবি ও লেখা অলোকা বিশ্বাস সাহা
[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সঙ্গীতে এম.এ করেছেন। মা হওয়ার আগে একটি স্কুলে পড়াতেন।  বাংলাzine-এর অনুরোধ ছোট বেলার লেখালেখির অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অবসর সময় কাটে লেখালেখিবইপড়াবিভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজখবর করে আর নিজের ছোট্টটির জন্য গান গেয়ে।]

গকুল বাবুর লাউ - গাজরের পায়েস

ছবি- গুগল 
সারা বছর যে সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন গকুল সেনশর্মা, সেই পৌষ পার্বণটাও হুস হুস করে বেড়িয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে দিয়ে। আর এই পৌষ সংক্রান্তির আসল যাকে নিয়ে মজা সেই পিঠে পায়েস টাই তো ভাগল বা! কারণ আর কি পেটে সইছেনা তাই। কথায় বলে পেটে খেলে নাকি পিঠে সয়। সকাল থেকে বাথরুম আর ঘর করতে করতে কথাটা এখন অত্যাচারে এসে ঠেকেছে।  তার ওপর ফেসবুকে সবাই যে রেটে পিঠের ছবি লাগাচ্ছে তাতে কেমন জেন একটা হতাস ভাব ছেঁকে ধরেছে গকুল বাবুকে। নিজের নামটাও মনে করতে ইচ্ছে করছেনা। সেটাও তার নিজের প্রিয় পিঠের নামের একটা কিনা। নামটা রেখে ছিলেন দাদামশাই। তিনি নিজে বড় ভাল বাসতেন পিঠে পায়েস খেতে। আর গকুল পিঠে ছিল তার মধ্যে সব থেকে প্রিয়। আজকের দিনে দাদামশাই বাড়ির কাউকে হেঁসেলে ঢুকতেই দিতেন না। নিজেই সব করতেন নিজের হাতে করে। দাদামশাই লাউ এবং গাজর দিয়ে দারুণ এক পায়েস রান্না করতেন। তার পর বাড়ি সুদ্ধ সবাই সেদিন পিঠে দিয়েই ভজন পর্ব শেষ করত। সেই পিঠে পায়েসের স্বাদ আর গন্ধ এখনও যেন সমস্ত ইন্দ্রিয়ে মাখা মাখি হয়ে আছে। রান্নার গুনটি না পেলেও খাওয়ার গুনটা সোলো আনা বাগে এনেছেন গকুল বাবু। নিজের বাড়িতেও প্রতি বছর পিঠে হয়। ছেলের বউ ফিগার মেনটেন করার জন্য মিষ্টি খায়না। সে না খাক এই সব জিনিশে ভাগীদার যত কম হয় তত ভাল। কিন্তু এই বার আসল খাইয়ে লোকের অসুখ বলে পিঠেই নাকি হবে না। উফ ভাবা যায়। আগের দিন হলে এই সব অন্যায় কাজ করার সাহস পেত কেউ। সামান্য প্রতিবাদ করার চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সেটি বউ আর ছেলের দপটে উড়ে গেছে। কেবল বউমাই এই বিষয়ে একটু সমর্থন করেছিল। বলেছিল, আজ বাপি নাই বা খেতে পারুক কাল তো আর পেট খারাপ থাকবেনা। তার উত্তরে শাশুড়ির বলেছিল তুমিই না হয় তাহলে পিঠে কর মা! সেই শুনে বেচারি আর কিছু বলার রিস্কটাই নেয়নি। জাই হোক এখন আর ভেবে কি হবে...... আবার সেই একটি বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
চোখ বুজে আধ সোয়া হয়ে দুঃখের কথা ভাবছিলেন। রাত ৭টা বেজে গেল আজকের দিনটাই শেষ, আর সাথে সাথে পিঠে খাওয়ার আশাও। হটাত করে নাকের কাছে একটা গন্ধ পেলেন। নিশ্চয় পাসের বাড়িতে পায়েস বা পিঠে হচ্ছে। কিন্তু গন্ধটা এত কাছ থেকে আসছে যে!! চোখ মেলেই দেখলেন বউমা দাঁড়িয়ে হাতে পায়েসের বাটি। হেসে বলল বাবা আজ অফিসে আমার এক কলিগ সবার জন্য লাউ ও গাজরের পায়েস এনেছিল। প্রতিবারই আনে। অন্যবার আমি খাইনা কিন্তু এই বার আমার ভাগেরটা আমি আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। মায়ের কাছে শুনলাম দুপুরের পর থেকে আপনার আর তেমন কোন পেটের অসুবিধা হয়নি। তাই এখন খেলে কিচ্ছু হবেনা। আমি ডাক্তার কাকুকেও জিজ্ঞেস করেছি। এই টুকু পায়েসে অসুবিধা হবেনা। আনন্দের চোটে প্রায় অভিভূত হয়ে গেলেন গকুল বাবু। হাতটা বাড়িয়ে বললেন দাও মা!     

উপকরণ-                                         সময়- ৪৫ মিনিট
লাউ-গ্রেট করা ২ কাপ
গাজর-গ্রেট করা ১ কাপ
নারকেল-কোরানো ১ কাপ
দুধ-২ লিটার
কনডেন্সড দুধ-১ কৌটা
এলাচ গুঁড়ো-আধ চা চামচ
ঘি-৩ টেবিল চামচ
পেস্তা বাদাম কিসমিস সাজানোর জন্য- পরিমাণমত।

প্রণালী-  লাউ ও গাজর ফুটন্ত জলেতে আধ সেদ্ধ করতে হবে। তারপর কাপড়ে চিপে শুকিয়ে নিতে হবে। ঘিয়ে লাউ ও গাজর হাল্কা ভেজে নিতে হবে। এবার ২ লিটার দুধ ঘন করে নিয়ে লাউ ও গাজর নারিকেল দিয়ে ভাল করে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে এলাচ গুড়ো দিয়ে নামাতে হবে। পেস্তা বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করতে হবে।

********************

ছবি ও লেখাঃ প্রিয়াংকা দাশ
[লেখক পরিচিতি: বাংলা ও  মাস কমিউনিকেশন নিয়ে মাস্টার্স বর্তমানে স্ব-নিযুক্ত কাজের সাথে যুক্ত। এছাড়াও লেখা-লেখির নেশা ছোট থেকেই। আর ভালবাসেন নিত্য নতুন রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে।] 


কাজু চিকেন

সেদিন আচমকাই বিতান মৌকে জানাল অফিস কলিগদের বাড়ি আসার কথাটা। এত্ত তাড়াতাড়ি কি ব্যবস্থা করবে মৌ, ভারি ঝামেলায় পরা গেলো। বিতানের যেমন কথা, বলে, ওরা খুব নিজেদের মতন, তুমি ভালবেসে যা খাওয়াবে ওরা খাবে। আরে সে নয় হল, কিন্তু হাজার হোক অফিস কলিগ বলে কথা। বিতানটা না কিচ্ছু বোঝে না। বলে দিয়েই খালাস। চিকেন আছে অবশ্য। ফ্রাইড রাইস আর চিকেন করবে। কিন্তু চিকেনের কি করবে। মাথা কাজ করছে না মউয়ের, ছোট মাসির কাছে অনেকরকম রেসিপি থাকে, ঠিক সময় ছোট মাসির কথা মনে পরল, ব্যাস দেরি না করে ছোট মাসিকে ফোন। মাসির কাছ থেকে এই নতুন কাজু চিকেনের রেসিপিটা জেনে নিয়ে, নিজের হাতের রান্না খাইয়ে বিতানের কলিগ দের মন জয় করে নিল মৌ।
উপকরণ                                 সময়- ৪৫ মিনিট
চিকেন - দেড় কেজি,
কাজু বাদাম-১৫০ গ্রাম,
পোস্ত -১৫০ গ্রাম,
পেঁয়াজ -৬ টা (৪ টে কুচিয়ে রাখতে হবে,বাকি ২ টো বেটে নিতে হবে),
কাঁচা লঙ্কা -৮ টা,
আদা বাটা -৪ চামচ,
টমেটো -১ টা,
চিকেন মশলা -১ প্যাকেট,
গরম মশলা- সামান্য,
নুন-হলুদ-শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো -পরিমাণ মতন,
ঘি -২ চামচ,
সর্ষের তেল- প্রয়োজন মত।

প্রণালী- চিকেন ভালো করে ধুয়ে নুন, হলুদ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, চিকেন মশলা অর্ধেক প্যাকেট, দিয়ে মেখে রাখতে হবে অন্তত ১ ঘণ্টা। কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে ৫০ গ্রাম কাজু ভেজে নিতে হবে। বাকি কাজু বাদাম, পোস্ত আলাদা করে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে টমেটো, পেঁয়াজ কুচি, আর কাঁচা লঙ্কা ভাজতে হবে, পেঁয়াজ লাল হয়ে এলে, কাজু বাটা, পোস্ত বাটা ভালো করে ভাজতে হবে। তেল ছেড়ে এলে চিকেন দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে কষাতে হবে, কষান হয়ে এলে, হাল্কা গরম জল দিতে হবে চিকেন সেদ্ধ হওয়ার মতন। চিকেন সেদ্ধ হয়ে এলে, একটু গা মাখা করে নামিয়ে নিতে হবে। ওপর থেকে ভাজা কাজু গুলো সুন্দর করে ছড়িয়ে সার্ভ করতে হবে।
***************
ছবি ও লেখা অলোকা বিশ্বাস সাহা
[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সঙ্গীতে এম.এ করেছেন। মা হওয়ার আগে একটি স্কুলে পড়াতেন।  বাংলাzine-এর অনুরোধ ছোট বেলার লেখালেখির অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অবসর সময় কাটে লেখালেখিবইপড়াবিভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজখবর করে আর নিজের ছোট্টটির জন্য গান গেয়ে।]

গ্রেট ভেজি পাস্তা

কাল বিকেলে জয়াদির বাড়ি গিয়ে দেখি গালে হাত দিয়ে বসে আছে। কি হল ব্যাপারটা। জানতে পারলাম, ছেলে বায়না করেছে বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে পাস্তা খাবে বলেছে। কিন্তু কি করে করতে হয় সেটা জয়াদি জানে না। আমি বললাম প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। বলল, এর আগে ওরকম করে বানিয়ে দেওয়ার পর খায়নি। এখন স্কুলে বন্ধুরা নেয় বলে এই বায়না। আমি বললাম, ও এই ব্যাপার, ঠিক আছে, আমি একটু অন্য রকম করে তোমায় বলে দিচ্ছি, বানিয়ে দিয়ো, নিজে খেও, সবাইকে খাইয়ো, আর জানিয়ো, কেমন লাগল। একটু আগে জয়াদি ফোন করে অনেক ধন্যবাদ জানাল, বলল, তুমিও গ্রেট, তোমার ভেজি পাস্তাও গ্রেটসবাই খেয়ে হাত চেটেছে। আর ছেলেও খুব খুশি।

উপকরণ  
পাস্তা-২ প্যাকেট,(বাজারে খোলা পাস্তাও পাওয়া যায়, যদি সেটা হয়, তাহলে ৪০০ গ্রাম) 
সাদা জিরে -১ চামচ, 
শুকনো লঙ্কা- ১ টা, 
ফুলকপি -অর্ধেক, 
আলু -১ টা, 
গাজর -১ টা, 
ক্যাপ্সিকাম -১ টা, 
বিন্স -৫ টা, 
মটরশুঁটি -আন্দাজ মতন, 
কাঁচা লঙ্কা -২ টো, 
ধনেপাতা -২ আঁটি, 
সর্ষের তেল -অল্প


প্রণালী- সবজি গুলো খুব সরু করে কেটে নিতে হবে, মটরশুঁটি ছাড়িয়ে নিতে হবে ধনেপাতা কুচিয়ে রাখতে হবেশুকনো কড়াইতে সাদা জিরে আর শুকনো লঙ্কা ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। পাস্তা হাল্কা সেদ্ধ করে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল নিয়ে সবজি গুলো ভেজে নিতে হবে, ভাজা হয়ে গেলে পাস্তা গুলো দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে, তেল যদি টেনে যায়, সামান্য তেল দেওয়া যেতে পারে। ভাজা হয়ে গেলে সাদা জিরে গুঁড়ো আর শুকনো লঙ্কার গুঁড়োর মিক্সচার টা ওপর থেকে ছড়িয়ে আরেকটু ভেজে ধনেপাতা কুচোন ছড়িয়ে দিতে হবে। প্যাকেটের পাস্তায় মশলা থাকলে সেটা দিতে হবে। টমেটো সস বা যে কোন সস এর সাথে পরিবেশন করতে হবে গ্রেট ভেজি পাস্তা।

***************
ছবি ও লেখা অলোকা বিশ্বাস সাহা
[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সঙ্গীতে এম.এ করেছেন। মা হওয়ার আগে একটি স্কুলে পড়াতেন।  বাংলাzine-এর অনুরোধ ছোট বেলার লেখালেখির অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অবসর সময় কাটে লেখালেখিবইপড়াবিভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজখবর করে আর নিজের ছোট্টটির জন্য গান গেয়ে।]

স্পাইসি কাঁচকলা

সাত সকালে ছোট কাকিমার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। একরাশ বিরক্ত নিয়ে এই ঠাণ্ডায় কম্বল থেকে উঠে বসতে হবে নীলিমা কে। ভাবলেই গায়ে জ্বর আসছে, কিন্তু উঠতে যে হবেই, ব্যাপারটাও বোঝা হয়ে গেছে তার। নির্ঘাত ছোট কাকু বাজার থেকে কিছু উতপটাং বাজার এনেছে। এ জিনিস এ বাড়িতে কমন। রান্নাঘরে গিয়ে দেখে আন্দাজ ঠিক। চিৎকারের কারন, কাঁচকলা। বাজার থেকে ছোট কাকু কাঁচকলা এনেছে। ছোট কাকিমার আরও চিন্তা, সকালে নাকি কাঁচকলা দেখা অশুভ। তাতে নীলিমার বাবা আবার বলে বসেছে, রান্না করে ফেলো, তাহলে অশুভ ব্যাপারটা কেটে যাবে। তাইতে আরও অপরাধ। গোলমাল মেটানোর দায়িত্ব এখন নীলিমার। বলে বসলো, নো টেনশন কাকিমনি, আমি একটা দারুণ রান্না জানি, যেটা তোমার খুব পছন্দ হবে। এই রান্না টা হল স্পাইসি কাঁচকলা। যেটা তোমার এই অপছন্দের কাঁচকলা দিয়েই হবে।
উপকরণ কাঁচকলা ৪ টে, আলু ২ টো, টমেটো ১ টা, কাঁচা লঙ্কা ৬ টা, ক্যাপসিকাম ১ টা, আদা বাটা ২ চামচ, জিরে বাটা ১ চামচ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, ব্যসন ৪ চামচ, ধনে পাতা (সামান্য), তেজ পাতা ২ টো, ঘি, গরম মশলা, সর্ষের তেল।
প্রণালী প্রথমে কাঁচকলা গুলো অর্ধেক করে কেটে নিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। আলুগুলো ডুমো ডুমো করে হাল্কা সেদ্ধ করে নিতে হবে। টমেটো টা গ্রেড করে নিলে ভালো হয়।ক্যাপসিকাম কুচিয়ে নিতে হবে।কাঁচকলা সেদ্ধ হয়ে গেলে গা থেকে খোসা গুলো কেটে ফেলে দিতে হবে। এরপর সেদ্ধ কাঁচকলা গুলো ভালো করে চটকে নিতে হবে। তার মধ্যে ১ চামচ আদা বাটা, সামান্য নুন, সামান্য চিনি দিতে হবে। তারপর মিশ্রণ টা দিয়ে ছোট ছোট গোলা বানাতে হবে। ব্যাসন টা একটু নুন, হলুদ দিয়ে গুলে নিতে হবে। তারপর কাঁচকলার গোলা গুলো ব্যসন এ চুবিয়ে বড়ার মতন ঘি এ ডুবিয়ে ভাজতে হবে। বড়া ভাজা হয়ে গেলে, সর্ষে তেলের মধ্যে সাদা জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে ক্যাপসিকাম কুচি আর সেদ্ধ আলু গুলো একটু নেড়েচেড়ে তার মধ্যে গ্রেড করা টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, আদা বাটা, জিরে বাটা, একটু নুন, হলুদ, আর শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। তেল ছেড়ে এলে হাল্কা গরম জল দিতে হবে। একটু ফুটে উঠলে বড়া গুলো ছেড়ে দিতে হবে। সামান্য ফোটাতে হবে। নামাবার আগে একটু ঘি, গরম মশলা আর চিনি দিতে হবে।ধনেপাতা গুলো উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটু গা মাখা হয়ে এলে সুন্দর গন্ধ ছাড়ার সাথে নামিয়ে নিতে হবে এই স্পাইসি কাঁচকলা। 
********************
ছবি ও লেখা অলোকা বিশ্বাস সাহা

[পরিচিতি: লেখিকা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সঙ্গীতে এম.এ করেছেন। মা হওয়ার আগে একটি স্কুলে পড়াতেন।  বাংলাzine-এর অনুরোধ ছোট বেলার লেখালেখির অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অবসর সময় কাটে লেখালেখি, বইপড়া, বিভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজখবর করে আর নিজের ছোট্টটির জন্য গান গেয়ে।]

মিষ্টি ফুলকারি

এমনিতে ভাল মানুষ কাবেরির শ্বশুর। কিন্তু খাবারের শেষ পাতে মিষ্টি না হলেই মেজাজ ঠিক থাকেনা। এই দিকে বাজার থেকে কিছু মিষ্টি না এনেই অফিস হাঁটা দিয়েছে কাবেরির বর। বাবার এই রাগের কথা জানা সত্ত্বেও কি করে যে এই ভুল করে ভেবেই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। চুপ চাপ কাজ করতে দেখে কাবেরিকে কারণটা জিজ্ঞাসা করলেন শাশুড়ি। সমস্যা শুনে হেসে বললেন আরে দূর এইটা আর এমন কি! আমি কি করে তা হলে ৩৭ টা বছর সামলালাম মানুষ টাকে। দারাও ব্যবস্থা করছি আর তুমিও তোমার খাইয়ে শ্বশুরকে বোকা বানানর ফন্দিটা শিখে নাও। দেখি কি আছে ফ্রিজে। এই বলে এক প্যাকেট পাউরুটি নিয়ে এলেন। এ দিয়ে কি হবে কাবেরিত ভেবেই পায়না। অবশেষে হাতের গুনে চটজলদি বানিয়ে দিলেন শেষ পাতে মিষ্টির সুন্দর একটা পদ।    
উপকরণ-                                          সময়- ৩০ মিনিট
গুঁড়ো দুধ - ১ কাপ
বাটার অয়েল - আধ কাপ
জল- ২ কাপ
পেস্তা বাদাম -১ টেবিল চামচ
পাউরুটি কিউব করে বাটা -২ কাপ
চিনি- ১ কাপ
তবক- ২ পিস
গোলাপ জল -১ চা চামচ
এলাচ গুড়ো -হাফ চা চামচ
বাদাম বাটা- ১ টেবিল চামচ
খাওয়ার কমলা রঙ- ১ ফোঁটা

প্রণালী :  প্রথমে পাউরুটি কিউব করে কেটে বাটার অয়েল দিয়ে ভেজে নিন। অন্য পাত্রে ২ কাপ জল ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। এক ফোঁটা খাওয়ার রঙ দিয়ে দিন। এই সিরায় ভাজা রুটিগুলো দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে ডিসে ঢেলে ভাল করে মেখে নিন। মাখার সময় গুঁড়ো দুধ, এলাচ গুঁড়ো, বাদাম বাটা দিয়ে দিন। এবার ফুলের আকারে গড়ে নিতে হবে বা ছাঁচ থাকলে তাও ব্যাবহার করতে পারেন। অল্প করে গোলাপ জল ছড়িয়ে দিন গন্ধের জন্য। এবার পেস্তাবাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। পেস্তা বাদাম দেওয়ার আগে তবক দিন।
*****************
ছবিও লেখা-সুপ্রিতি গাঙ্গুলি 


[পরিচিতি-নিপাট গৃহ বঁধু। সংসারের নানান ঝামেলা সামলাতেই সময় কেটে যায়। আর অবসর সময়ে বই পড়তে ভালবাসেন। আর ভালবাসেন বাড়ির সবাইকে নিত্য নতুন রান্না করে খওয়াতে।]


ডিম পুড়িয়া

ডিমের আঁশটে গন্ধ একদম পছন্দ নয় পাপান-এর। কিন্তু পাঁচ বছরের বাচ্চা যদি ডিম না খায় তা হলে সত্যি চিন্তার ব্যাপার। কাঁহাতক বকে ঝকে খাওয়ান যায়। ও দিকে ডাক্তার বার বার করে পাপানের পুষ্টির দিকে নজর দিতে বলেছে। পাপানের সাথে তার মায়ের এই নিয়ে রোজ ঝামেলা বকা বকি চলতেই থাকে। অবশেষে পাপানের দিদিমা এসে সমাধান করলেন সমস্যার। আলুর ভক্ত পাপান কে তাই ডিম খাওয়াতে আলু সাহায্য নেওয়া হল ডিম পুড়িয়ার  মাধ্যমে। 

উপকরন-                                                                সময়- ৩০ মিনিট
ময়দা -১০০ গ্রাম,
আলু- দুটো,
বেকিং পাউডার- হাফ চা চামচ,
ঘি -২ টেবলচামচ,
দুধ-সামান্য,
মাখন -১ টেবলচামচ,
পেঁয়াজ -দুটো,
ডিম - তিনটে,
টম্যাটো - ১ টা,
রসুন-  ২ কোয়া,
নুন-গোলমরিচ স্বাদ মতো ।

প্রণালী- ময়দা,বেকিং পাউডার মিশিয়ে ঢেলে নিয়ে আলু সিদ্ধ মিশিয়ে মাখুন। আলু মাখার সঙ্গে নুন,ঘি মেশান। ফয়েলে ময়দা ভরে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। প্যানে মাখন গরম হলে পেঁয়াজ,টোম্যাটো দিয়ে কষিয়ে নিয়ে ডিম,নুন,গোলমরিচ দিন। ময়দার তাল থেকে দু-তিনটে লেচি করে রুটির মতো বেলে পুর ভরে রোল করুন। মাথার দিকে চেপে আটকে দিয়ে দুধ ব্রাশ করে নিন। বেকিং ট্রে-তে তেল গ্রিজ করে আভেনে ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট বেক করুন। ছাকা তেলে ভেজেও নিতে পারেন। এবার শুধু ডিম পুড়িয়া খাওয়ার পালা। 
**********************
ছবি ও লেখাঃ সাবিতা দাশগুপ্ত
[পরিচিতি: দীর্ঘ চাকুরী জীবনের পরে এখন উপভোগ করছেন অখণ্ড অবসর। তারি ফাঁকে ভালবাসেন রান্না নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে। বাংলাZine-এর অনুরোধে ভাগ করে নিলেন সেই সব রান্না ও তার অভিজ্ঞতা।]