শিরোনাম

কাছে দুরে

ঘুরতে যাওয়া এক অদ্ভুত নেশা, বছরে দু তিনবার না গেলেই নয়. তাই কাছাকাছি ওড়িশা ওয়াইল্ড লাইফ এবং শংকার দর্শন দুটি করা যায়। 

বালাসোর স্টেশনে নেমে বাবুভাই এর গাড়িতে চেপে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, আর ওখানে বাপনের অতিথেয়তায় মুগ্ধ করে মন।

পায়ে হেটে পাহাড়ের মাথায় ওপরে উঠে হয় মন্দির দর্শনের জন্য। তারপর বহু প্রতিক্ষিত পঞ্চলিঙ্গেশ্বর দর্শন করার জন্য লাইনে দাড়াতে হয়। 

বলে রাখা ভালো বাবা পঞ্চলিঙ্গেশ্বরকে দর্শন করার জন্য ঝরনার জলের স্রোতে হাত ডুবিয়ে স্পর্শ করতে হয়। এ এক অভূত পূর্ব অনুভূতি।

এখানকার আদিবাসী জীবন খুব সাধারণ। চোখে অনেক প্রশ্ন কিন্তু মুখে ব্যক্ত করে না। 

তবে এরা মা দুর্গার আরাধনা করে মুরগি বলি আর চিরে ভোগ দিয়ে।


কিছু দুরেই আছে কুলডিহা ওয়াইল্ড লাইফ স্যঞ্চুয়ারি। ফরেস্টে ঢোকার পথে পড়ে রিশিয়া ধাম। দেখে মনে হয়েছিল ওড়িশা দাল লেক। 

এরপর ফরেস্টে ঢোকার পালা। গা ছমছমে পরিবেশ, লাল মাটির রাস্তা আর মাথার উপর সবুজের চাদর। রোমাঞ্চকর অনুভূতি। 

একটু গাছের উপর দিকে খেয়াল রাখলে দেখা মিলতেও পারে জায়ান্ট স্কুইর্রেলের।

ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামলঠাঁই হলো বনদপ্তরের সুসজ্জিত টেন্ট-এ।

রাতের অন্ধকারে ওয়াচ টাওয়ার এ বসে বন্য প্রানীদের চলা ফেরার শব্দ শুনে যা মনে হয়েছিল তা ভাষায় বলা খুব কঠিন।

পরের দিন জঙ্গলে ইতিউতি ঘুরে ঘুরে ওয়াইল্ড লাইফ খুঁজে বেড়ানোর মজাটাই ছিল আলাদা। সময় কেটে যায় খুব তারাতারি। ফিরে আসতে মন চায়না। তবু ফিরতেই হয় কাজের স্রোতে। 


***********************


ছবি ও লেখা দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

[পরিচিতি: লেখকের নেশা ও পেশা হল ফটোগ্রাফি। সেই নেশার টানে ঘুরে বেড়ান পশ্শ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। অবসর সময় কাটে সুরের দেশে পারি দিয়ে।




2 comments: আপনার মন্তব্য