ছবি- গুগল
|
এমনিতে ত্বক
নিয়ে সমস্যার শেষ নেই, তার মধ্যেও যদি ব্রণ দেখাদেয় তাহলে তো সমস্যা আরও
দিগুন। কিন্তু এর জন্য দায়ী আপনার রূপচর্চা রুটিন ও শুষ্ক-ঠাণ্ডা মৌসুমী বাতাস। এ
সময়ে ব্রণ প্রতিরোধক প্রসাধনী ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যায় না। এর কারণ হলো গরমের
দিনের প্রসাধনী শীতে আগের মতো কাজ করে না।
ত্বকের এ সমস্যা
নিয়ে মনমরা হওয়ার কিছু নেই। আজকে আপনার জন্য রইল ব্রণ তাড়ানোর কয়েকটি নিয়ম-
- শীতে লোশন মাখতে অনেকে ভয় পান। মনে করেন লোশন মাখলে ব্রণ আরও বাড়বে। এটা ঠিক নয়। শীতে ত্বককে আগে আর্দ্র আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আর এ জন্য অবশ্যই স্নান কিংবা মুখ ধোয়ার পরে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার মাখতে হবে। তবে ব্রণ থাকলে প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- ত্বকের ব্রণ মানেই এ নয় সকলের পরামর্শ মানবেন। এর বদলে নিজের সমস্যার ধরন নিয়ে ভাবুন। এ সময়ে দরকার একটু বাড়তি যত্ন ও ঘরোয়া চিকিৎসা। অন্য কারো পরামর্শের দরকার মনে হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ব্রণ প্রতিরোধক পণ্য কেনা সময় প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ কিছু বেছে নিন।
- সাধারণত আমরা ভাল ক্লিনজার বলতে দামী ক্লিনজারই মনে করি। আর ব্রণ থাকলে তো কথাই নেই। বাজার ঘুরে ঘুরে নামি ব্র্যান্ডের ক্লিনজারগুলো কিনে থাকি। কিন্তু আপনার অগোচরে এই ক্রিমগুলো ত্বকের অপূরণীয় ক্ষতি করছে, তা জানেন কি? মনে রাখবেন যত দামি ক্রিম তত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ত্বকের ধরন বুঝে এই শীতে বেছে নিন নরমাল ক্লিনজার।
- বেশিরভাগ মানুষই মনে করে গরমের চেয়ে শীতে কম জল খেলেও চলে। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শীতে অন্তত দৈনিক ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। এটা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে এবং সেই সঙ্গে ব্রণের হাত থেকেও দূরে রাখবে।
- আপনার চুল ও ত্বকের ময়লা বালিশে আটকে থাকে। আর প্রতিদিন সেই বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমানোর ফলে বালিশে জমে থাকা ময়লা ত্বকে গিয়ে ব্রণের সৃষ্টি করে। তাই ব্রণ থেকে বাঁচতে চাইলে মাঝে মাঝে অথবা সপ্তাহে একবার বালিশের কভার বদলাতে হবে।
- শুধু শীতে নয় বরং সবসময়ই ব্রণে হাত না লাগানো উচিত। অনেকেরই ব্রণে খোঁচাখুঁচির অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না, হাত ও নখে থাকা লুকানো ব্যাকটেরিয়া ত্বকে গিয়ে আরও ক্ষতি করে— বিশেষ করে আপনার ত্বক যদি শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment