শিরোনাম

ঠেলা ঠেলির পাঁচ ফোড়ন

জোরসে ঠেলা, হেই সামালো
নিত্যদিনে কাজের ফাঁকে ঠেলা খাচ্ছি, আবার ঠেলা দিচ্ছিও। গফর মিয়াও ঠেলে নিয়ে চলেছে তার গাড়ি। আজ হাট বারে ঠেলা ঠেলি করে জায়গাটা পাকা করে নিতেই হবে। ভাল জায়গা জোটালে আবার ফোড়ন দেওয়ার লোক ও জুটে যাবে। এই ঠেলা ঠেলির যুগে সব কি গায়ে মাখা যায়!!

ডিয়ার গব্বরখতম করার আগে ঠেলার গল্প শুনে যা
এত দিন গাঁও ওয়ালো কে খালি ঠেলার খেলা দেখিয়ে জালিয়ে মেরেছে গব্বর।  এই বার কুট্টুস মিয়াঁ দেখাবে  ফোড়ন বাজী কাকে বলে। দেখিয়ে দেব ঠেলা ঠেলি কারে কয়।

ছোট খোকা হাঁটে পা পাশেখেনি সে ঠেলা খাওয়া
ছোট্ট খোকা দিলে ঠেলা গলা চড়িয়ে রাগ করো
আর তোমরা যে সব বুড় খোকা ফোড়ন দিয়ে ফাঁক করো
তার বেলা??

মা লক্ষ্মী ঠেলা দিলেন পায়ের ছাপের ফাঁকে
আলপনা দিচ্ছে বুঁচকি। কিছুতেই লক্ষ্মীর পা ঠিক করে আঁকতে পারছে না। তার জন্য বিস্তর কেস খাচ্ছে। আর ছোট ভাই পিকলু ও তখন থেকে খালি দিদি তোর দ্বারা কিসসু হবে না বলে ফোড়ন কেটে যাচ্ছে। সাথে ঠাকুমাও ভাইকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এমন সময় নাড়ুর থালা দেখে উত্তেজিত হয়ে পিকলু হুড়মুড় করে পরবি তো পর মায়ের ঘাড়ে। এই বার বুঁচকি হাসে আর ভাবে কেমন আমার সাথে লাগা বুঝবে এইবার ঠেলা কাকে বলে।

আরে ও সাম্বা কিতনে ঠেলা থে রেপাঁচ সর্দার
বিশিষ্ট নাগরিক সাম্বাকে তুই তোকারি করে প্রশ্ন করছে সর্দার। দোষটা যদিও এতে তারই বেশি। সে যে তিন সাগরেদ কে কাজটা করতে পাঠিয়ে ছিল তারা ফুল কেস খেয়ে চলে এসেছে। এত্ত বড় চেহারা নিয়ে সামান্য ছোট ছোট পাঁচটি ঠেলা যদি তারা না খেতে পারে তাহলে কি আর বলার আছে। নিজেরা তো মরবে আর সাথে ওদের জন্য কি হেনস্তাই না হতে হচ্ছে। দূর দূর এর থেকে ভাল সন্ন্যাস নেওয়া।

রঙের মাঝে রঙ্গিন হল ঠেলা খাওয়ার পালা
প্রথম যখন এ বাড়ির খেঁদি কে ও বাড়ির খেঁদা দেখে ছিল দিনটা ছিল দোলের। রঙে মাখা মাখি খেঁদিকে পুরো দীপিকা পাড়ুকোন লাগছিলো। তারপর কেটে গেছে পাক্কা পাঁচটি মাস।  এখনও প্রপোজটা ঠিক করে করা হলনা। যদিও এস এম এস এ বলেছে কথা গুলো। কিন্তু যুতসোই উত্তর পায়নি তাই এইবার সামনা সামনি বলেই দেবে ভাবছে।

হেড লাইটে ফোড়ন বাজী
প্রচণ্ড গরম। দাঁড়ানোর জায়গা নেই। বসার জায়গা স্বপ্ন। ঠেলা ঠেলি করে কিছু একটা ধরতেই হবে। দিদি দেখি একটু সাইড দিন না। দুত্তরি আর পারা গেলনা। বলি ও দাদা আপনার ঘ্যেমো বগল টা মুখের সমনে থেকে সরান তো। তখন থেকে সিগনাল খেয়ে বাসটা দাঁড়িয়ে। আর একটু হলে পেরিয়ে যাওয়া যেত। রেড লাইট টা পাতি ফোড়ন বাজী দিল। হয়ে গেলো আজ অফিস টাইমে পৌঁছান। রোজ রোজ আর ভাল লাগে না।

হ্যাঁচ্চো!!! পাঁচ ফোড়নের গন্ধ
(আশ্বিনের শরদ প্রাতে এক ছুটির দিনে)

স্বাঃ কি এত রাঁধছো বলত! হ্যাঁচতে  হ্যাঁচতে অবস্থা খারাপ।
স্ত্রীঃ সুক্তোতে ফোড়ন দিলাম তার ধোঁয়া।
স্বাঃ ধোঁয়া আর নেই এতো দেখছি পুড়ে গেছে।
স্ত্রীঃ হ্যাঁ পুড়ে গেছে!! যাও তো না বুঝে মন্তব্য করাটা বন্ধ কর।
স্বাঃ বোঝার কি আছে! আমি কিন্তু ছুটির দিনে পোড়া খাওয়ার খাবনা।
স্ত্রীঃ আচ্ছা ঝামেলায় পড়া গেলো তো। আরে দূর! বেশি বক বক করনা তো। যাও না তোমার মা কে বল তা হলে রেঁধে দিতে। 
স্বাঃ হুহ!! পারবে কোন দিন মায়ের মত রাঁধতে।
স্ত্রীঃ দরকারও নেই অমন রান্না শেখার। কোন সবজীর খোসাই তো ছাড়ান না।
স্বাঃ খোসাতে সবজীর অনেক গুণ থাকে।
স্ত্রীঃ সেই খোসা আলাদা, এখন সবই রঙ চড়ানো। না ছাড়ালে অক্কা পাবে।

(হটাৎ বিলতু সোনা জোরে কেঁদে উঠল। তুমুল ঝগড়া-চিৎকার- সব বন্ধ -কারণ এত চেঁচামেচিতে সে ভয় পেয়েছে)


পাঁচ ফোড়নের পর্দা ফাঁস ২২ থেকে ২৩
কালি রামের ঢোল ফেটে গেলো, বাট তারপর হাউ?  অত হাউ-মাউ করার কিছু নেই। বেড়িয়ে পড়ল ঝুলি থেকে বিড়াল-সংস্কৃতির ঘরোয়া ছন্দে ফোড়ন বাজী। অতঃ কিম রসে রঙ্গে আমাদের বঙ্গে ফোড়ন-এর পর্দা ফাঁস। 

অঙ্গে-বঙ্গে-রসে-রঙ্গেপাঁচ ফোড়নে থাকুন সঙ্গে
পাঁচ বন্ধু এই প্রথম দেখা করছে নভেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে। এর আগে ফেসবুকে আড্ডা দিলেও সামনা সামনি এই প্রথম। জমাটি ব্যাপার যে হবে, তার কোন সন্দেহ নেই।


1 comment: আপনার মন্তব্য

  1. valo laglo thela vorti thela theli, Jiboner sob ongse thela theli. Kintu ei thela te SALE er sosta mal nei. Choluk aaro erokom, sobai thela theli kore porte thaki.

    ReplyDelete