কাল সন্ধ্যেবেলা আমাদের পাশের বাড়ির দোয়েলের কাছে গিয়েছিলাম।
দোয়েল আমাকে দেখেই বলল "কাকিমা, পরের সপ্তাহে আমাকে দেখতে আসছে। ওরা খুব ভোজনবিলাসী।
তাই আমাকে কয়েকটা রান্নার পদ শিখিয়ে দিও না”। বাঙালি মাত্রই চিংড়ি প্রিয়।
দোয়েলের কথা মত চিংড়ির উপরে চটজলদি একটি রেসিপি নীচে দিলাম| মধ্যবিত্ত বাঙালির পাতে
মালাইকারী ছেড়ে এবার পাতে পাড়বে চিংড়ি ষোলোয়ানা ‘।
উপকরণ- সময় – ৪৫
মিনিট
চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম,
মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ - ২০০ গ্রাম,
আদা - ১/২ ইঞ্চি,
কাঁচা লঙ্কা ঝাল হলে – ৫/৬
টা,
জিরে গুড়ো - ২ বড় চামচ,
টক দই – ১/২
কাপ,
নারকেল কোরা – ১
কাপ,
নুন মিষ্টি -পরিমাণ মত,
সাদা তেল – ৩
বড় চামচ,
ছোটো এলাচ,দারুচিনি,কাজু বাদাম - আন্দাজ মত।
প্রণালী- চিংড়ি
ভালো করে ধুয়ে কিছুটা খোসা সমেত অল্প নুন হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে তেল
দিয়ে গোটা লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ফোঁড়ন দিয়ে
চিংড়ি ছেড়ে দিতে হবে। যখন একটু লালচে রং ধরবে তখন পেঁয়াজ, আদা,কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে
বেটে তার রসটুকু দিয়ে নাড়াতে হবে। এবার এক কাপ নারকেল কোরা থেকে দুধ বের করে অল্প
জল দিয়ে তাতে জিরে গুড়ো আর নুন-মিষ্টি স্বাদ অনুসারে কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। ঝোলটা
গাড় হলে আধ কাপ দই ফেটিয়ে কাজু বাদাম বাটা সহযোগে উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুন্দর রং
ও গন্ধ ছড়ালেই ষোলোয়ানা তৈরি।
************************
নুপুর
চন্দ
|
[পরিচিতি: লেখিকা
আদ্যোপান্ত গৃহবধূ।কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক।এক সময় থিয়েটার এর সাথেও
সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন।এখনও সেই অনুরাগ অটুট আছে।বিবাহের পরে শরীর চর্চা, যোগ ব্যায়ম
এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পেশাদার যোগা সার্টিফিকেট পেয়েছেন।অবসর সময় কাটে রান্নাবান্না,বইপড়া,গান শোনা,নিজের হাতে তৈরি বাগানের
পরিচর্যা করে ।]
No comments:
Post a Comment