আমরা ৬ জন ঠিক করেছিলাম যে যেভাবেই হোক একবার গুরুদংমার লেকটা দেখে আসতে হবে।
সুযোগ পেয়ে গত ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৪ বেরিয়ে পরলাম পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে। মালদা পর্যন্ত বেশ গেলাম
নির্ধারিত সময়ের আগেই,কিন্তু তার পর
থেকে শুরু হলো দেরী হওয়া। বোধহয় বিধি কিছুটা বাম ছিলেন,শুনলাম কোথায়
লাইনে ক্র্যাক দেখা দিয়েছে তাই দেরী হচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড কুয়াশা। যাই হোক ৬
ঘণ্টা লেট করে
বেলা ৩ টেয় পৌঁছলাম নিউ জলপাইগুড়ি। সকাল থেকে
বিশেষ খাওয়া দাওয়াও হয়নি। গাড়ি ছিল তাই সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পরলাম। রাস্তায় চাঁদের
আলো অপরূপ লাগছিল। গ্যাংটক পৌঁছলাম রাত সারে ৮
টায়।
পরের দিন বেড়তে বেড়তে সারে ৯ টা হয়ে গেল,কারণ গাড়ি আসতে
দেরী করেছিল। আমরা ট্যাক্সি-স্ট্যান্ডে
দাড়িয়ে ছিলাম। যাব লাচেন,গ্যাংটক থেকে প্রায় ১২৪ কিমি দূরত্ব। পথে পরবে মাঙ্গান,৬৫ কিমি দূরত্ব। প্রথম স্টপ বাটার ফ্লাই ওয়াটার-ফল্স্,বেশ ভালো লাগলো । রাস্তা মোটামুটি ভালো,অল্প ভাঙ্গাচোরা,
থামলাম আবার
তিস্তা বাঁধ পেরিয়ে। সুন্দর জায়গা,দেখলাম একটা
উপনিবেশ,ঠিক ব্রিজের নীচে। লোকেরা দূর থেকে গাছের
ডাল কুড়িয়ে আনছে জ্বালানির জন্য। বুঝলাম বেশ কষ্ট করতে হয়। এবার শুরু হলো খারাপ রাস্তা। গত ২০১১-১২ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার জের এখনো চলছে। মাঙ্গান
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখনও সারাই চলছে,মহিলারাও আছেন,একজনকে দেখে তো বেশ স্টাইলিশ লাগলো। যাওয়ার পথে মিলিটারিদের
কনভয় কে রাস্তা ছাড়তে হলো তারপর আবার
যাত্রা শুরু হল।
গুরুদংমারযাত্রা পথেঃ পর্ব দুই
গুরুদংমারযাত্রা পথেঃ পর্ব দুই
****************
ছবি ও লেখা -অভিজীৎ সরকার
|
[পরিচিতি-ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার
অবসরপ্রাপ্ত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট।বয়স ৬৭,ঘুরে বেড়াতে
ভালোবাসেন, ভালোবাসেন ছবি তুলতেও, চাকরী করা কালীন ফটোগ্রাফি শেখার সময়-সুজগ হয়নি, যে দৃশ্য তার
চোখে ভাল লাগে সেই ছবিই তোলেন। সালটা সম্ভবত ১৯৫৭-৫৮ হবে, হটাৎ কিনে ফেলেন একটা জার্মানী মেড আগফা ক্যামেরা, সুরু হয় ফটোগ্রাফির যাত্রা। যদিও তিনি বলেন- “আমার ফটোগ্রাফির জ্ঞান খুবই কম,ইয়ং জেনারেশনদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি”। কিন্তু তার ছবি ও গল্পে একটা অসাধারণ আকর্ষণ আছে,যার কোন তুলনা
হয় না।]
So so proud!!
ReplyDeleteThanx.
ReplyDelete