দিন বদলানর সাথে সাথে সব কিছুতেই লেগেছে আধুনিকতার
ছোঁয়া। নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়গুলোতে কাপড়ের বদলে স্থান করে নিয়েছে স্যানিটারি
ন্যাপকিন।কিন্তু এই স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকেই হতে পারে জরায়ুতে ক্যান্সারের মত মারণ
ব্যাধি।সারা দুনিয়াতেই ৭০% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে ব্যথা,চুলকানির সমস্যায়
ভোগেন।আর তার জন্য অনেক সময়ই দায়ি থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যাবহার।
কিন্তু কি ভাবে? জেনে নেওয়া যাক সেই কারণ গুলি…
• ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন
এজেন্সির গবেষণার দ্বরা প্রমাণিত,স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডাইঅক্সিন (Dioxin) নামক এক
ধরণের কেমিকেল দিয়ে তৈরি।উপাদানটি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী।তাছাড়া জরায়ুর নানা ধরনের
সংক্রমণ ও এই উপাদানটি থেকে হয়ে থাকে।
• ১৯৯৬ সালে সংস্থার এক গবেষণায়
জানা যায়,প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি। এই ডায়োক্সিন সন্তাণ
ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের জন্যও দায়ী।
• প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের
কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে
অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়।ফলে সংক্রমণও হতে পারে।
• দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয়
যে ন্যাপকিন গুলো,সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস
জন্মাতে শুরু করে।আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ,চুলকানী হতে পারে।
• প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন
সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে
এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
সমস্যা এড়ানোর উপায়.........
যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন,চেষ্টা
করুন,তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার।ব্যবহারের জন্য তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন।যা
৪ঘন্টা অন্তর বদলে নেয়া যায়।
No comments:
Post a Comment