২১) মিথিলা- বর্তমানে জনকপুর স্টেশনের কাছে এই
তীর্থস্থান। সতীর বাঁ কাঁধ ছিটকে এসে পড়ে এখানে। দেবী এখানে মহাদেবী রূপে পূজিতা
হন। শিব পূজিত হন মহোদর রূপে।
২২) চট্টগ্রাম- পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী,কলি যুগে সীতাকুণ্ডের কাছে এখানে চন্দ্রশেখর পাহাড়ে নিয়মিত আসেন মহাদেব।
প্রচলিত মত অনুসারে,সতীর ডান হাত পড়েছিল এখানে। দেবী এখানে ভবানী রূপে পূজিতা হন। শিব পূজিত হন
এখানে চন্দ্রশেখর রূপে।
২৩) মানবক্ষেত্র- গুসকরা স্টেশনের কাছে কোগ্রামের এই
পুণ্যভূমিতে সতীর পরিচয় দাক্ষ্যায়ণী। মনে করা হয়, সতীর ডান হাত
বা হাতের তালু পড়েছিল এখানে। শিব পরিচিত সিদ্ধিদায়ক রূপে।
২৪) উজ্জয়িনী- মধ্যপ্রদেশের এই স্থানে পড়েছিল দেবীর
কনুই। দেবী পূজিত হন এখানে মঙ্গলচণ্ডী রুপে।
শিব পূজিত হন কপিলাম্বর রূপে।
২৫) পুষ্কর- দেবীর হাতের তালু থেকে কনুই অবধি অর্থাৎ
মণিবন্ধ পড়েছিল এখানে। দেবী এখানে পূজিতা হন গায়ত্রী নামে। শিব পূজিত হন সর্বানন্দ
নামে|
২৬) প্রয়াগ- ইলাহাবাদের ত্রিবেণী তীর্থে পড়েছিল সতীর
হাতের দশ আঙুল।সতীর নাম এখানে ললিতা এবং শিব হলেন ভবা।
২৭) বহুলা- বর্ধমানের কেতুগ্রামের কাছে বহুলায় দেবীর
বাঁ হাত পড়েছিল বলে বিশ্বাস। দুর্গার নাম এখানে বহুলা। শিবের পরিচয় ভীরুক নামে।
২৮) জলন্ধর- দেবী এখানে পূজিত হন ত্রিপুরমালিনী। শিবের
রূপ ভীষণ। পাঞ্জাবের এই অঞ্চলে পড়েছিল সতীর ডান স্তন।
২৯) রামগিরি- বলা হয়,দেবীর বাঁ স্তন
পড়েছিল এখানে। ছত্তিসগড়ে বিলাসপুর স্টেশনের কাছেই এই তীর্থক্ষেত্র। সতীর পরিচয়
এখানে শিবানী এবং শিবের পরিচয় চণ্ড হিসেবে।
৩০) বৈদ্যনাথ- জশিডির কাছেই বিখ্যাত এই শৈব
তীর্থক্ষেত্র আবার সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম।
বিশ্বাস করা হয়, এখানেই পড়েছিল সতীর হৃদয়। দেবীর নাম
এখানে 'জয়দুর্গা। শিব হলেন বৈদ্যনাথ।
এখনো পুরো হয় নি। বরধ্মানে সবমঙ্গলা মন্দিরে দেবির নাভি পরেছে বলে দেখান হয়। যদি এই তালিকা তে না থাকে তবে যেটা দেখান হয় কি সত্য নয়?
ReplyDelete