শিরোনাম

সুন্দর চুলের পথের কাঁটা

ছোট বেলায় ঠাকুমার ঝুলির কুঁচ বরন কন্যার মেঘ বরন চুলের গল্পই হোক বা ভিনদেশি রাপুঞ্জেল, চুলের পরিপাটিতে কেউই কম যায়না।  সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ একরাশ কালো চুল। যদিও এখন সুন্দর চুলের সংজ্ঞা থেকে কালো রঙের বাধকতা বাদ গেছে। এখনকার রাজকন্যারা চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা পছন্দ করে। যার ফলে চুলে দেখা দেয় হাজার সমস্যা। কি কি করা উচিৎ চুল কে সুস্থ রাখতের পরিবর্তে কি কি অনুচিত চুলের স্বাস্থ্যের জন্য আসুন জেনে নেওয়া যাক।



**ভেজা অবস্থায় চুল বেশি দুর্বল থাকে তাই এই সময় চুলে চিরনি দেওয়া চলবেনা। চুলে যদি স্নানের ফলে জট পড়ে তবে আগেভাগেই চুল আঁচড়ে নিন। স্নানের সময় চুল যদি আঁচড়াতেই হয় তবে কন্ডিশনার দিন এবং হাতের আঙুল দিয়ে জট আলগা করুন। তারপর চুল ধোয়ার আগে ফাঁকা ফাঁকা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান।

**বেশি চুল আঁচড়ালে চুল পড়া বেড়ে যায়। মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে যে তেল উৎপন্ন হয় তা সবচেয়ে সেরা কন্ডিশনার। কাঠের চিরুনি দিয়ে মাথার ত্বক মাঝে মাঝে ম্যাসাজ করুন। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধি ঠিক থাকে। চুল আঁচড়ানোর সময় গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আঁচড়ান, এতে প্রাকৃতিক ভাবেই চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।




**প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করলে তা চুলের কোনো উপকারে আসে না। ঘন ঘন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে যে তেল উৎপন্ন হয় তা ধুয়ে যায়। শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার বেশি ব্যবহারের ফলে চুলের ঔজ্জ্বল্য কমে যায় এবং চুলের আয়ুও কমে যায়। আপনি যদি চুলের স্টাইলের জন্য বেশি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে শুধু জল দিয়েই প্রতিদিন চুল ধুয়ে ফেলুন অথবা চুলে হারবাল কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

**চুল যখন নিস্তেজ এবং ভারি হয়ে যায় শুধু তখনই চুলের কন্ডিশন করান। কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক চুলের যতক্ষণ না ভেঙে যাওয়ার মত অবস্থা হয় ততক্ষণ কন্ডিশন করাবেন না। অতিরিক্ত কন্ডিশন করাটা চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি ব্যাপার। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য এবং সিরিয়াস ভাবে চুল পড়তে থাকলে বা ভাঙতে থাকলে সপ্তাহে একবার কন্ডিশন করান। 

**চুলের স্টাইলের জন্য অনেকেই তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে চুল শুকাতে বলে। কিন্তু চুল কোনো কিছু দিয়ে বেশি ঢেকে রাখলে মাথার ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে চুল নিস্তেজ ও কোঁকড়ানো হয়ে পড়ে। চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল তোয়ালে দিয়ে মুছে হাতের আঙুল দিয়ে চুল ঝেড়ে ফেলুন। চুল শুকাতে সময় বেশি নিলেও এতে চুল স্বাস্থ্যবান হবে।

**ভেজা চুলে কখনোই গরম কোনো কিছু ব্যবহার করবেন না। চুল কোঁকড়া অথবা সোজা করার জন্য আয়রনের ব্যবহার ভেজা চুলের ফলিকল পুড়িয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং ভেঙে যায়। চুলে স্টাইলের জন্য গরম কিছু ব্যবহার করার আগে চুল অবশ্যই সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিতে হবে। চুল মেশিনের মাধ্যমে না শুকিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে শুকান।

**চুল সোজা অথবা কোঁকড়া করার আগে কোনো হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করবেন না। হেয়ার স্প্রেতে যে অ্যালকোহল থাকে তা তাপ পেলে আস্তে আস্তে পুড়তে থাকে। যদি হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই তা চুল সোজা বা কোঁকড়া করা বা স্টাইল করার পরে ব্যবহার করতে হবে।

**কোনো উপলক্ষে হঠাৎ পিছনের দিকে চুল আঁচড়ানো একটি জনপ্রিয় ব্যাপার। কিন্তু নিয়মিত এটা করলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল ফাটে ও পড়ে যায়।

0 comments: