Friday 1 May 2015

এই গরমে তরমুজ প্রেমে থাকুন তরতাজা

ছবি- গুগল 
পাল্লা দিয়ে  গরম বাড়ার সাথে সাথেবাজার ঘাট ভরে যাচ্ছে সুস্বাদু সব ফলে। তরমুজ গরমেরই ফল। আকার-আকৃতিতে যেমন বড়, তেমনি গুণের ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ। প্রতিদিন দুই কাপের মতো তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির চাহিদা মেটে। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুয়িড ও মিনারেলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সবুজ খোসাসহ তরমুজ ক্যানসার রোগীদের জন্য খুবই আদর্শ। এ ছাড়া অ্যাজমা,ডায়াবেটিসের মতো রোগ এবং ব্যথা উপশমে তরমুজ ভারি উপকারী।

এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই জল। তাই তরমুজ খেলে সহজেই জলের তৃষ্ণা মেটে। তরমুজের থাকা বিশেষ কয়েক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমাগত নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বজায় রাখে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এতে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণও অনেক। বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই ফল খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। কারণ,ভিটামিন এ ত্বককে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
ছবি- গুগল 
তরমুজের ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি১ শরীরে এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে এবং এই গরমেও শরীরকে সতেজ রেখে,শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। যখন শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণে জল বের হয়ে যায়,তখন এটি খেলে শরীরের জলশূন্যতা দূর হয়। তরমুজে আছে পটাশিয়াম,যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যানসার,কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল এবং খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় সহজে কিন্তু সেই অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে না। যত ইচ্ছা তরমুজ খেলেও তাই ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। তাই নিশ্চিন্তে তরমুজ খান।

No comments:

Post a Comment