ছবি- গুগল
|
সমগ্র বিশ্বে উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রার পরিমাপ
দিন কে দিন অসহ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এই তীব্র তাপ শুধু অস্বস্তি নয়, শরীরে তাপজনিত অসুস্থতার
ও সৃষ্টি করে। সাধারণত যখন আবহাওয়া অনেক উষ্ণ হয়, তখন আপনার শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে
যাবে। যার ফল হিসেবে দেখা দেয় শরীরে জলশূন্যতা, শক্তি ক্ষয় এবং সবশেষে হিট স্ট্রোক।
বিশেষ করে হিট স্ট্রোক খুবই মারাত্মক একটি জিনিস। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। সুতরাং এই
তাপজনিত অসুস্থতার পরিস্থিতি সামাল দিতে কি কি বিষয় করণীয় তা আগে জেনে নেওয়া উচিৎ।
জলশূন্যতা- চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে
শরীরের অভ্যন্তরেও উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে আপনার শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যাবে।
শরীর শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে জল পিপাসার চাহিদা বারে। এক্ষেত্রে জল পান না করলে পেটে ব্যথা
শুরু হতে পারে। হাত পা ঝিম ঝিম করবে, কিংবা পেশীতে ব্যথা অনুভূত হবে যাকে আমরা ক্র্যাম্প
বলে থাকি। প্রচুর ঘাম হওয়ার সাথে সাথে চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরানো কিংবা অন্যান্য
দূর্বলতা দেখা দেয়। সুতরাং যখনই এই সব সমস্যায় আপনি ভুগতে শুরু করবেন, দ্রুত কোন শীতল
স্থানে বসে বিশ্রাম নিন এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সেই সাথে শরীরের ঘাম
মুছে নিন, বাতাসে শরীর শুকানো ও শীতল করার চেষ্টা করুন।
ছবি- গুগল
|
শক্তিক্ষয়-যদি জলশূন্যতা প্রতিকার করা না হয়
তাহলে সেটি শরীরের শক্তিক্ষয় এর দিকে মোড় নিতে পারে। কারণ তখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত
জলের অভাব ঘটে। তখন সেটি শরীরের কার্যকলাপ ঠিক রাখার জন্য সঞ্চিত শক্তি খরচ করতে শুরু
করবে। এতে আপনার শরীরে দূর্বলতা বাড়তে শুরু করবে। ফলে এক্ষেত্রে চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে
যেতে পারে। শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এছাড়া বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, তীব্র মাথাব্যথা,
অবসাদ, হাত পা কাঁপতে থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি। তার পাশাপাশি মানসিক যে উপসর্গ
দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে দ্বিধাবোধ, অসংলগ্নতা ইত্যাদি।
হিট স্ট্রোক-তাপমাত্রা জনিত অসুস্থতার চূড়ান্ত
রূপ হচ্ছে হিট স্ট্রোক। যদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয় তবে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত
ব্যক্তি মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যুবরণ করতে পারে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত
করার জন্য যেসব উপসর্গ পর্যবেক্ষণ জরুরী তার মধ্যে প্রথম হল, আক্রান্ত ব্যক্তির তাপমাত্রা
চেক করা। যদি স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে তিনি হিট স্ট্রোকের শিকার
হয়েছেন। এছাড়াও শুষ্ক ফ্যাকাসে ত্বক, ঘাম ইত্যাদি পাশাপাশি লক্ষ্য করা জরুরী। এরপর
আক্রান্ত ব্যক্তির আচার আচরণ লক্ষ্য করুন। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ছোট করে নিঃশ্বাস
নেয়া হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। তার পাশাপাশি যদি বমি হয়, হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক এর
চাইতে কম হয় তাহলে দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।অত্যধিক
গরমে অসুস্থ হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। সুতরাং এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য
আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা জরুরী।
তাপমাত্রা জনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত
প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। যতটা সম্ভব শরীর শীতল সতেজ রাখার চেষ্টা করুণ। বেশি মশলা
জাতীয় খাওয়ার এড়িয়ে চলুন। জাদের হাইপ্রেসার এর অসুখ আছে তারা অবশ্যই প্রেসার চেক করুণ
নিয়মিত। বেশি করে ফল , ফলের রস খান। প্রয়োজন ছাড়া রোদ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বার হলে সঙ্গে
জল রাখুন।
No comments:
Post a Comment