ছবি- গুগল |
ক্লিওপেট্রা নাম শুনলে এখনও
পর্যন্ত পুরুষ হৃদয়ে তোলপাড় হয়। সেই ভুবন মোহিনী সুন্দরীর রূপ রহস্য নিয়ে গবেষণার
শেষ নেই। কেমন করে ধরে রেখেছিলেন যৌবনকে তিনি নিজের দেহে। নারীর সৌন্দর্য মাপার
মিটার হল পুরুষের চোখ। আপনিও কি আপনার কাঙ্কখিত পুরুষটির চোখে নিজেকে ক্লিওপেট্রার মত সুন্দরী করে তুলতে চান?
তাহলে আপনার জন্য রইল ক্লিওপেট্রার রূপ রহস্যের কিছু চাবিকাঠি।
ক্লিওপেট্রার ফেস মাস্ক:-এখনকার
ফেস মাস্কের ধারণার প্রবর্তকও স্বয়ং ক্লিওপেট্রা। তার আবিষ্কৃত প্রথম ফেস মাস্কের
উপাদান ছিলও মধু,ডিমের সাদা
অংশ এবং ‘গাধার খুর’
নামে এক প্রকার গাছের পাতার রস। যুগে যুগে ক্লিওপেট্রার রূপ
রহস্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আর হয়েছে এই ফেস মাস্ক নিয়েও।
দুধ ও মধু দিয়ে স্নান:-
ক্লিওপেট্রার একটি বিশেষ রূপ রহস্য ছিল গাধার দুধ ও খাঁটি মধুর সাথে বাদাম তেল
মিশিয়ে স্নান। তিনি যখনই দূরে কোথাও যেতেন,সঙ্গে
২টি গাধা নিয়ে যেতেন। যাতে স্নান করার প্রয়োজন হলে সমস্যায় না পড়তে হয় সেটা
ভেবেই তার এমন অদ্ভুত খেয়াল।
তবে এখন তো আর গাধার দুধ দিয়ে
স্নান করা সম্ভব না। ক্লিওপেট্রার এই রূপ রহস্যটি অনুসরণ করতে চাইলে আপনি গরুর
খাঁটি দুধ,মধু ও বাদাম তেল/অলিভ অয়েল দিয়ে
মিশ্রণ বানিয়ে আপনার স্নানের জলের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে
ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়।
ক্লিওপেট্রার বডি স্ক্রাব:- দুধ ও মধু দিয়ে স্নানের সময়ে ক্লিওপেট্রার
দাসীরা তার শরীরের একটি বিশেষ ধরণের স্ক্রাব ব্যবহার করতো। স্ক্রাব বানাতে প্রয়োজন
২ টেবিল চামচ সামুদ্রিক নুন ও ৩ টেবিল চামচ ক্রিম(প্রাকৃতিক)। নুন ও ক্রিম এক সাথে
পুরো শরীরের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। পুরো শরীরের ম্যাসাজ করার পর ৫
মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই স্ক্রাবিং ব্যবহার করলে শরীরের মরা চামড়া উঠে
যায় ও ত্বক নরম হয়।
ক্লিওপেট্রার ফেস ক্রিম:-
ক্লিওপেট্রা বিশেষ কিছু উপাদান দিয়ে মুখের জন্য ক্রিম বানাতেন। তার ফেস ক্রিম
বানাতে লাগতো ২টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস, ৪ ফোঁটা গোলাপের তেল, ১ টেবিল চামচ বাদামের
তেল,মৌচাকের মোম। মোম ও বাদাম তেল হাল্কা গরম করে গলিয়ে
নেয়া হতো। এর পর একে একে বাকি উপকরণগুলো দেয়া হতো। মোম বেশি দিলে ক্রিম ঘন হয়
আর কম দিলে পাতলা হয়। এই ক্রিমটি ত্বকের যত্নে একটি অসাধারণ উপকরণ। একবার বানিয়ে
ফ্রিজে রেখে দিলে এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যায়।
ক্লিওপেট্রার শ্যাম্পু:- কথিত
আছে যে রানী ক্লিওপেট্রার চুল ছিলও অসাধারণ। তার চুলের শ্যাম্পু গুলোর মধ্যে একটি
ছিলও ডিম। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা করে সেটাকে পুরো চুল আগা থেকে
গোড়া পর্যন্ত লাগানো হতো। এর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হতো।
ক্লিওপেট্রার হেয়ার
ট্রিটমেন্ট:-এখনকার সময়ে চুলে গরম তেলের যেই ট্রিটমেন্ট করা হয় সেটার প্রচলক
ছিলেন ক্লিওপেট্রা। তিনি ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
এক সাথে মিশিয়ে হাল্কা গরম করে নিতেন। এর পর সেটা মাথার তালুতে ও সব চুলে ভালো
করে ম্যাসাজ করে লাগাতেন। এরপর একটি কাপড় দিয়ে পুরো মাথা পেচিয়ে রাখতেন ৩০
মিনিটের বেশি সময় ধরে। এই হেয়ার ট্রিটমেন্টে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল কোমল
হয়।
ক্লিওপেট্রা ছিলেন একজন
রহস্যময়ী নারী। তার জীবনের প্রতিটি ঘটনার মতো তার রূপেরও সব রহস্য উৎঘাটন করা
যায়নি। তিনি নিজেকে এবং নিজের রূপকে খুবই ভালো বাসতেন। এই জন্যই তিনি নিজের ত্বক
ও চুলের যত্নে অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার করে গেছেন। সেই পদ্ধতি গুলোই রূপের যত্নে
এতকাল পড়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
0 comments: